ভারতের ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তের সঙ্গে নিজের মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বলেছেন, ইলিশ রপ্তানি নিয়ে আগের সিদ্ধান্তেই আছেন তিনি।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে উপদেষ্টা। বলেন, রপ্তানির যে অনুমতি হয়েছে, সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের না।
‘ভারতে ইলিশ রপ্তানির সঙ্গে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনও সম্পর্ক নাই। আমি এখনও আমার আগের সিদ্ধান্তেই আছি যে, আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে, পরে রপ্তানি,’ যোগ করেন তিনি।
তবে ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্তের পর বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, এখনও ইলিশ যায়নি, মাত্র সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য বাজারে ইলিশের দাম বাড়ার কোনো কারণ নাই।
ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলেও কতটুকু যাবে তা এখনো বলা যায় না বলে মন্তব্য করেন ফরিদা।
বলেন, দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে তিন হাজার মেট্রিক টন। কতটুকু যাবে সেটা এখনও বলা যায় না।
এদিকে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে তিন নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। প্রজনন মৌসুমে ইলিশের ডিম ছাড়া নির্বিঘ্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সময় জেলেদের ২৫ কেজি চালের জায়গায় সহায়তা আরও বাড়ানো হবে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা।