এডুকেশন ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪ : ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রান্ট বা মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কাজ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অনেকদিন ধরেই এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের একটা দাবি শোনা যাচ্ছিল। যা বর্তমানে একটি কার্যকর পরিণতির দিকে যাচ্ছে।
এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর ফলাফলের ভিত্তিতে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে আলাদা আলাদা মেধাতালিকা হবে। একজন পরীক্ষার্থী যে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে রেজিস্ট্রেশন করবে, তার নাম শুধু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকাতেই থাকবে। আর পরীক্ষার্থী যদি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যে ফরম নিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে তার নাম ফলাফলের ভিত্তিতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা মেধাতালিকায় আসবে। বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরণের জটিলতা নেই বললেই চলে।
প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গিয়ে বারবার পরীক্ষা দেয়া ও সেসময় যাতায়াত-আবাসন সংক্রান্ত নানা হয়রানির শিকার হতে হতো শিক্ষার্থীদের। এই পদ্ধতিতে সেসব বন্ধ হবে। সবদিক থেকে এই পদ্ধতি খুবই সময়োপযোগী।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমাতে কয়েক বছর ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত বা গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে বলে আসছিলেন। কিন্তু বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় তাতে রাজি ছিল না। অভিযোগ ছিল, মূলত ভর্তির ফরম বিক্রি বাবদ বিরাট অঙ্কের টাকার আয় থেকে শিক্ষকেরা বঞ্চিত হওয়ার ভয়েই এই পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজি হতে চায় না।
তবে ইউজিসির ওই সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারাও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে সম্মতি দিয়েছেন।
আমাদের আশাবাদ এই পদ্ধতি কার্যকরের সিদ্ধান্ত দেশের লাখো শিক্ষার্থীদের হয়রানি কমিয়ে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। সূত্র : চ্যানেল আই