বেকারত্ব নিরসনে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে বিসিক মুদ্রন শিল্প নগরী প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলার সিরাজদীখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা গ্রামে ঢাকা-দোহার সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের জমির মালিক ও সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মানববন্ধন শেষে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন চিত্রকোট ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মো. আজিম, আব্দুর রহমান, জোবেদ আলী, দীপু রায়, প্রনব রায় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা জানান, বছরের বেশির ভাগ সময় তাদের জমি পানির নীচে থাকে। জমি গুলো চাষাবাদের অনুপযুক্ত। এতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। তাই সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বিসিক মুদ্রন শিল্পনগরী প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণের টাকা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। এরই পেক্ষিতে তাদের চেক প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিগগিরই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন করা হবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে জেলার সিরাজদীখন উপজেলার বড়বর্তা মৌজায় ১০০ একর জমিতে বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সে সময় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে বড়বর্তায় জমি অধিগ্রহনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০২২ সালের শুরুর দিকে একই উপজেলার খারশুর মৌজায় প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে অনুমোদন হয় প্রকল্পটি। ২৬৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৭ সালের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রেেয়ছে।
এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি এই প্রকল্পটির সফল বাস্তবায়নে অধিগ্রহণকৃত ভূমি নিচু,হওয়ার কারণে জমির মালিকগনের সম্মতি প্রেক্ষিতে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ভূমি অধিগ্রহণ আইন-১৭ এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে সকল নিয়মাচার শতভাগ প্রতিপালন করে ২০২৪ এ চূড়ান্ত অনুমোদন সাপেক্ষে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে। এরপর জমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আবেদন করেন।
ইতিমধ্যে ২৪০ টি পরিবারের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদানের মাধ্যমে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মানববন্ধনে স্থানীয় জমির মালিকগণ বলেন, সরকারের জনমুখী উন্নয়ন কার্যক্রমে বাঁধাগ্রস্ত করতে ইতিমধ্যে এলাকার কিছু চিহ্নিত ভূমি দস্যু জমির দালাল ও জাল দলিল প্রস্তুতকারী অসাধু চক্র হীনব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।মানববন্ধনে স্থানীয়রা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন উন্নয়ন প্রকল্পটি নস্যাৎ করার জন্য ভূমিদস্যুরা জমির মালিকদের হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছেন।