মেহেদি হাসান মিরাজের কৃতিত্বে রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনটা বাংলাদেশের। প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে ২৭৪ রানে। ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রতিপক্ষের কোনো স্পিনার ৫ উইকেট নিলো। আর সেটা মেহেদি মিরাজ। স্বস্তি আরও বেড়েছে শেষ দু’ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১০ রান তোলায়। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও পিছিয়ে ২৬৪ রানে। ফলের আশা দেখাচ্ছে চারদিনের টেস্ট।
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের স্বস্তির দিন। বল হাতে পথ দেখান মিরাজ, তাসকিন। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ভুল করেননি জাকির-সাদমান। ১০ রান তুলে নিশ্চিন্তে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন।
বৃষ্টিতে টেস্টের প্রথম দিন কেড়ে নিলেও দ্বিতীয় দিন সকালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সাদা পোষাকে ১৪ মাস পর মাঠে নামেন তাসকিন, ইনজরির ধকলতো ছিলই। নতুন বলে আস্থার প্রতিদান দিলেন প্রথম ওভারের শেষ বলে, দুর্দান্ত এক ইনসুইংয়ে বোল্ড করলেন আবদুল্লাহ শফিককে।
শূণ্যতে উইকেট হারালেও পথ হারায়নি পাকিস্তান। অধিনায়ক শান মাসুদ আর সাইম আইয়ুব পুরো সেশনটা পরীক্ষা নিয়েছেন টাইগার বোলারদের। লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ৯৯ রান, শানের হাফসেঞ্চুরি।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান মেহেদি মিরাজ। ১০৭ রানের জুটি ভাঙেন শান মাসুদকে ৫৭ রানে বিদায় করে। ফিফটি তোলা সাইম আইয়ুবও মিরাজের শিকার। জোড়া উইকেট নেয়ার পর সৌদ শাকিলের ক্যাচ ছাড়েন মিরাজ। যদিও বেশি ভোগানোর আগেই শাকিলকে ফেরান তাসকিন। টি ব্রেকের আগে সাকিবের আঘাত। বাবর আজমকে থামান ৩৬ রানে। এ সেশনে তোলে ৮৪ রান।
মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ইনিংস বড় করতে দেননি নাহিদ রানা। একাই প্রতিরোধ গড়েন আঘা সালমান। যদিও একবার ক্যাচ মিস ও আরেকবার রিভিউ না থাকায় বেঁচে যান। ফিফটি তুলে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে।
শেষ পর্যন্ত তাসকিনের সঙ্গে পেরে উঠেননি সালমান। মেহেদি মিরাজের ঘুর্ণিতে ২৭৪ রানে থামে পাকিস্তান। টেস্ট ক্যারিয়ারে দশমবার নিলেন ৫ উইকেট। ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে কোনো বিদেশি স্পিনার পেলো এমন ল্যান্ডমার্কের দেখা।