পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কোয়ালিটি এডুকেশন গড়ে তুলতে চাই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম ও ডিজিটালাইজেশন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। আধুনিক শিক্ষা কিভাবে অর্জন করতে হয় সে সম্পকে পার্বত্যবাসীকে জানতে হবে। খাগড়াছড়িতে আমরা ইংলিশ ক্যারিকুলার স্কুল গড়ে তুলবো। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার সংকট দুর করে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা হবে।
গতকাল শুক্রবার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবনের অডিটোরিয়ামে তিন পার্বত্য জেলা ও রাজধানীতে বসবাসরত সরকারি বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধি, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশাজীবীর মানুষ উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাতে গেলে সেখানে আয়োজিত এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মাতৃভাষা শিক্ষা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উপদেষ্টা কমিটি গঠন, ভিলেজ কমন ফরেস্ট, মডেল প্যাগোডা বা বিহার নির্মাণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা, নারীদের সকল প্রকার উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, দুর্গম এলাকার নারী ও শিশুদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা, নারীদের সহিংসতা প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন, আদিবাসী নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, পার্বত্য এলাকায় বিদেশি দাতা সংস্থাসমূহ থেকে ডোনারের সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
পার্বত্য এলাকার মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পার্বত্য তিন জেলায় লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সকল কাজ আমরা করবো। পার্বত্য অঞ্চলের মাটিতে অর্থকরী ফসল হিসেবে কাজু বাদাম ও ইক্ষুর চাষ বাড়ানো হবে। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ ও ইক্ষু চাষের মাধ্যমে আগামি ৩ বছরের মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।
পার্বত্য তিন জেলায় কমিউনিটি বেইজড সোসাইটি গড়ে তোলা হবে। পরিবেশ রক্ষা ও পানির উৎস বাড়াতে ফলপ্রসু উদ্যোগ নেয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ সংরক্ষণ, কৃষি উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া গর্ভবতী নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সুবিধার্থে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে দ্রুত তিন পার্বত্য জেলার জন্য ৩টি এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। সুশাসন নিশ্চিত করতে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো পুর্নগঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় সুপ্রদীপ চাকমার সহধর্মিনী নন্দিতা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব কংকন চাকমা, পার্বত্যবাসী প্রতিনিধিদের মধ্যে উৎপল দেওয়ান, , ইলিরা দেওয়ান, ইলা চৌধুরী, নিকোলাস চাকমা, ফাল্গুনি ত্রিপুরা প্রতুল দেওয়ান, কীর্তি নিশান চাকমা, বিপ্লব চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রথম পাতা
4,634 Views