তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার গুরুত্ব এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি তাই মিডিয়া এবং তথ্য স্বাক্ষরতায় দক্ষতার বিকল্প নেই, বিশেষ করে মিডিয়া র্কমীদের জন্য। এ লক্ষ্যে সাংবাদিক, এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে ভুল ও অপতথ্য শনাক্ত করে সঠিক তথ্য প্রচারে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর শ্যামলীর একটি অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়া ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আর্টিকেল নাইনটিন বাস্তবায়তি ‘‘এমপাওয়ারিং জার্নালিস্ট, অ্যাকটিভিস্ট এন্ড এইচআরডি টু আইডেন্টিফাই ফ্যাক্ট ফ্রম ফেক’’ প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সুভাশিষ দীপ, মিনহাজ আমান, মরিয়ম শেলী, মেহনাজ পারভিন ও ফাজরুন সুলতানা খান।
বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং বাংলাদেশও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। বিশেষ করে অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্যের উৎস ও মত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ক্রমাগতভাবে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে এ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা নানা ধরনের নেতিবাচক ও স্পর্শকাতর ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- বিদ্বেষমূলক তথ্য প্রচার, গুজব, ফেক বা ভুঁয়া তথ্যের ব্যবহার, উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার ইত্যাদি। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারিসহ মানবাধিকারকর্মীদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, গুজব, ভুয়া তথ্য বুঝা ও শনাক্তকরণে দক্ষ ও সচেতন করে তুলতে এই কর্মশালার আয়োজন।
দিনভর এই কর্মশালায় অংশ নেন বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক এক্টিভিস্ট এবং মানবাধিকারকর্মীসহ প্রায় ২৫ জন।
উল্লেখ্য, আর্টিকেল নাইনটিন একটি আর্ন্তজাতকি মানবাধিকার সংস্থা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করণের ক্ষেত্রে কাজ করে। সংস্থাটি ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে আসছে।
