চট্রগ্রামের মিরসরাইয়ের নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় ইউপি সদস্য সহ দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুটি ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল ইসলামের ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ধুম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম এর বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় ঘরের শিশু এবং মহিলারা ভয়ে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে । সাইফুল ইসলাম কে ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকলে জীবন বাঁচাতে সে দৌড়ে পালিয়ে যায। রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাস্তান নগর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম।
এই বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেখ আতাউর রহমান এর ঘোড়া প্রতিকের পক্ষে নাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান এজেন্ট ছিলাম। আমার উপর যারা হামলা চালায় তারা সবাই কাপ- পিরিচ প্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়ন এর পক্ষে ছিলেন। আমাদের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির উদ্দিন ইরানের অনুসারী ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলু, সাধারণ সম্পাদক রাকিব সম্রাট, খানসাব,ইমন, মোজাম্মেল সাইফুদ্দিন রুপম,আমার উপর হামলা চালায়। এ সময় আমার ৭ বছরের শিশু সন্তানসহ পরিবারের মহিলা সদস্যদের উপর রাতের অন্ধকারে তারা সশস্ত্র হামলা চালায়। আমি হামলার পর ভয়ে দৌড়ে না পালিয়ে যাই। না পালালে এতক্ষণে আমার লাশ পড়ে থাকতো।
তিনি আরো বলেন, আমি শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এখনো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এলাকায় মহড়া দিচ্ছে।
একইদিন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের চৈতন্যের হাট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের ঈগল প্রতিকের সমর্থকদের হামলায় গুরতর আহত হয়েছেন মোঃ আরিফ হোসেন (৩৫) । সে ৮নং দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মুরারীপুর গ্রামের মৃত নুরের জামান প্রঃ হেঞ্জু মেম্বারের ছেলে।
আরিফ হোসেন জানান, আমি গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ছিলাম। যারা হামলা করেছে তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে ছিলো। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি শেখ আতাউর রহমান এর ঘোড়া প্রতিকের পক্ষে কাজ করেছি। তারা এনায়েত হোসেন নয়ন এর কাপ পিরিচ প্রতিকের পক্ষে নির্বাচন করে। কাপ পিরিচ প্রার্থী বিজয় লাভ করায় আমার উপর রামদা কিরিচ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আমি কামরুল হাসান (৩৬), মোঃ হারুন (৪৫) সোহেল (৩৮), রুপন দে(৩৮), নয়ন দাশ (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন।
তিনি আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারনা নিয়ে মূলত আমার সাথে বিরোধ ছিলো । বিরোধের জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় কোপ মারিলে উক্ত কোপ বাম হাত দিয়া প্রতিহত করিলে কোপটি আমার বাম হাতের কবজির উপরে লাগিয়া গুরুতর জখম হয়। আমি পড়ে গেলে গলাচেপে ধরে শ্বাসরোধ করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করেছি। এখনো পুলিশ কাউকে আটক করেননি।