আমার গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি আছে। এ অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদে যে, অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি। আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই বলেন নারী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
অভিযোগ উঠেছে গঠনতন্ত্রের নিয়ম না মেনেই ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি শিল্পী সমিতির সদস্য করেছেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত বহিস্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে। জানা গেছে, কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই তিনিসহ আরো বেশ কয়েক জনকে সদস্য করেছে নিজের ভোট বাড়ানোর জন্য। শিল্পী তালিকায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ শিল্পীরা নিন্দা জানায়। অনেকেই নিজের অভিমত জানিয়ে প্রশ্ন রেখে নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেন। এসব তোয়াক্কা না করেই নিজের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর।
হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, এর আগে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করেছি। সমাজ সেবা করেছি। কিন্তু চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করা হয়নি। আমি চাচ্ছি চলচ্চিত্র অঙ্গনে যারা আছে তাদের জন্য কাজ করতে। এখানে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে যার কারণে অফারটি পেয়েই লুফে নিয়েছি। এখানে অনেক বিশাল আকারে কাজ করতে পারব।
বলে রাখা ভালো, শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রের ৫ (ক) ধারা অনুযায়ী—বাংলাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করিলে তিনি পূর্ণ সদস্য পদের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন। কার্যকরী পরিষদে তার আবেদন গৃহীত হইলে তিনি পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করিবেন এবং তিনি ভোটাধিকার সহ কার্যকরী পরিষদের যে কোন পদের জন্য যোগ্যবলিয়া বিবেচিত হইবেন। পূর্ণ সদস্য পদের জন্য আবেদনকারীকে পেশাগতভাবে অবশ্যই চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হইতে হইবে।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে তার ব্যতয় ঘটেছে। ‘ভাইয়ারে’ নামের একটি বিতর্কিত সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। আর এক সিনেমায় অভিনয় করেই তিনি শিল্পী সমিতির সদস্য হয়েছেন। সদস্য হয়েই অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। এরপর থেকে সমালোচনায় তিনি।