লাইলাতুল ক্বদর বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি মহামান্বিত রাত পবিত্র মাহে রমজানের বড় ফজীলত হচ্ছে লাইলাতুল ক্বদরের রাতটি। এই রাতে মুসলিম জাহানের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কুরআন শরিফ নাজিল হয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এই রাতটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের গুণাহ্ মাফের জন্য একটি মহিমান্বিত রাত হিসেবেও বিবেচিত। এই রাতটিতে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান যতো বেশী প্রার্থনা করবেন ততই সওয়াবের খাতায় পরিপূর্ণ হবে তার ইবাদত। তাই আমরা মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে এই লাইলাতুল ক্বদরের রাতটিকে মূল্যায়ণ করতে শিখি ও জানি কিভাবে সহিশুদ্ধ ইবাদত মহান আল্লাহপাকের দরবারে পৌঁছাবে। “নবী করীম হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন- ক্বদরের রাত রমজান মাসের শেষ দশ রাতে রয়েছে। যে ব্যক্তি উহার শুভফল লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, আল্লাহ্ তার আগের পিছনের গুণাহ মাফ করে দিবেন।” সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং সাওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় এ রাতে রাত্রি জেগে ইবাদত-বন্দেগি করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সকল পাপ মোচন করে দেয়া হবে।’ ‘লাইলাতুল ক্বদর’ মানে ক্বদরের রাত। ক্বদর অর্থ মাহাত্ম্য ও সম্মান। অর্থাৎ মাহাত্ম্যপূর্ণ রাত্রি ও সম্মানিয় রাত্রি। এ রাতের বিরাট মাহাত্ম্য ও অপরিসীম মর্যাদার কারণে রাতকে ‘লাইলাতুল ক্বদর’ বা মহিমান্বিত রাত বলা হয়। আরেক অর্থে ক্বদর মানে তাকদীর বা নির্দিষ্ট ও ধার্যকরণ বা আদেশ দানও হয়ে থাকে। এ রাতে পরবর্তী এক বছরের অবধারিত বিধিলিপি ব্যবস্থাপক ও প্রয়াগকারী ফেরেশতাগণের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এতে প্রত্যেক মানুষের বয়স, মৃত্যু, রিযিক, বৃষ্টি ইত্যাদির পরিমাণ নির্দিষ্ট ফেরেশতাগণ লিখে দেয়া হয়। এমনকি এ বছরকে হজ্জ করবে তাও লিখে দেয়া হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) এর বক্তব্য মতে চারজন ফেরেশতাকে এসব কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয়। তারা হলেন, ইসরাফিল, মীকাঈল, আযরাঈল ও জিরাঈল (আ.)। (কুরতুবী) পবিত্র কুরআনের সূরা দুখান এর শুরুর দিকে আয়াতটিতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘যে বরকতময় পবিত্র রাতে তাকদীর বা অদৃষ্ট সংক্রান্ত সব ফায়সালা লিপিবদ্ধ করা হয়।’ অধিকাংশ তাফসীরবিদগণের মতে সেই বরকতপূর্ণ রাত্রি হচ্ছে ‘লাইলাতুল ক্বদর’। পবিত্র কুরআনও ত্রিশপারা একসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছিলো এ রাতেই। এ রাতের ফযীলত ও মর্যাদার বিষয়ে খোদ আল্লাহ তা’য়ালা সূরাতুল ক্বদর নামের একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল করেছেন। এর চেয়ে বড় মাহাত্ম্য ও মর্যাদা আর কী হতে পারে? আল্লাহ নিজেই এ রাতের মহিমা বর্ণনায় বলেছেন, ‘ক্বদরের রাত্রি এক হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ’। অর্থাৎ কারো এক নাগাড়ে এক হাজার মাস বা ৮৩ বছর ৪ মাস পর্যন্ত ইবাদত করার যে ফযীলত বা সওয়াব পাওয়া যায়; তা এ এক রাতের ইবাদতের দ্বারাই মহান আল্লাহ প্রদান করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ। মহান আল্লাহ্ আরো বলেন- “ফেরেশতা ও রূহ (জিব্রাইল আ.) এ রাতে তাদের রব-এর অনুমতিক্রমে সব হুকুম নিয়ে অবতীর্ণ হয়, সে রাত পুরাপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার-ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত।” (সূরা আল-ক্বদর -৪-৫) লাইলাতুল ক্বদরের ফজিলতগুলো সংক্ষেপে নিম্নরূপ: * এ রাতটি হাজার মাস হতে উত্তম- কল্যাণময় (কুরআন) * এ রাতেই পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছে। (কুরআন) * এ রাতে ফেরেস্তা নাযিল হয় এবং আবেদ বান্দাহদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। (হাদীস) * ফজর পর্যন্ত এ রাতে পুরাপুরি শান্তি ও নিরাপত্তার। (কুরআন) * এ রাতে প্রত্যেকটি গুরুত্ব ব্যাপারে সুদৃঢ় ফায়সালা জারী করা হয়। (কুরআন) * এ রাতে ইবাদতে মশগুল বান্দাদের জন্য অবতরণকৃত ফেরেশতারা দু’আ করেন। (হাদীস) গুনাহ মাফঃ “যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর নিকট হতে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পিছনের সব গুণাহ মাফ হয়ে যাবে।” (বুখারী-মুসলিম) এ রাতে কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না। (ইবনে মাজাহ-মিশকাত) কিয়ামূল লাইলঃ ‘কিয়ামূল লাইল অর্থ হল রাত্রি জাগরণ। মহান আল্লাহর জন্য আরামের ঘুম স্বেচ্ছায় হারাম করে রাত জেগে ইবাদত করা আল্লাহর প্রিয় বান্দাহদের একটি গুণ। মহান আল্লাহ্ তার প্রিয় বান্দাহদের পরিচয় দিয়েছেন এভাবে তারা রাত্রিযাপন করে রবের উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে থেকে। সূরা ফুরকান-৬৪ “তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা হতে পৃথক থাকে (অর্থাৎ তারা শয্যা গ্রহণ করে না; বরং এবাদতে মশগুল থাকে)। তারা (গজবের) ভয়ে এবং (রহমাতের) আশায় তাদের রবকে ডাকতে থাকে এবং আমি যা দিয়েছি তা হতে দান করে থাকে। কেউ জানে না। তাদের আমলের পুরস্কার স্বরূপ (আখিরাতে) তাদের জন্য কি জিনিস গোপনে রাখা হয়েছে।” সূরা সিজদা (১৬-১৭)। উক্ত সূবর্ণ সুযোগ তথা ক্বদরের রাত্রি কবে? তার জবাবে খোদ পবিত্র কুরআনেই বলা হয়েছে, ‘তা হচ্ছে মাহে রমযানে। যাতে পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ সহীহ হাদিসে মহানবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তা মাহে রমযানের শেষ দশকে এবং বেজোড় রাতে তালাশ করতে বলেছেন। তিনি (রাসূল) নিজেও মাজে রমযানের শেষ ১০ দিনে, রাতদিন পরিপূর্ণ সময়টি স্বেচ্ছায় মসজিদে বন্দি থেকে বা অবস্থানগ্রহণ করে সেই ক্বদরের রাত্রি পাওয়ার প্রত্যাশায় কাটিয়ে দিয়েছেন। আর এটাকেই বলা হয়, ইতিকাফ। তাই মাহে রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা উম্মতের জন্য সুন্নতে কিফায়া। সহীহ বুখারীর এক বর্ণনায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা রমযানের শেষ দশকে ‘লাইলাতুল ক্বদর’কে তালাশ করো। সহীহ মুসলিম শরীফে বলা হয়েছে, তোমরা তা শেষ দশকের বে-জোড় রাতে তালাশ করো। (তাফসীরে মাযহারী)। এসব বর্ণনা দ্বারা বুঝা যায়, ‘লাইলাতুল ক্বদর’ প্রাপ্তিতে ইতিকাফের গুরুত্ব কত বেশি! অর্থাৎ নিশ্চিতভাবে তা প্রাপ্তিতে শেষ দশকের ইতিকাফ অবশ্যই সহায়ক। যে কারণে প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম মৃত্যু পর্যন্ত প্রতি রমযানেই ইতিকাফ পালন করে গেছেন। লাইলাতুল ক্বদর প্রাপ্তির প্রসঙ্গ ও উদ্দেশ্য ছাড়াও মাহে রমযানের শেষ মুহূর্তে ইবাদত-বন্দেগির পরিমাণ বৃদ্ধির সূবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগানোর স্বার্থেও ইতিকাফ করা হয়ে থাকে। তাই যথাসাধ্য সবার ইতিকাফের সুযোগ গ্রহণ করা সমীচীন। এই ইতিকাফের ফযীলত ও গুরুত্ব উপলদ্ধির জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, মহান আল্লাহ নিজেই পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় ও সূরা হজ্জে ই’তিকাফের কথা উল্লেখ করেছেন এভাবে- ‘আমি ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারি, ইতিকাফকারি ও রুকু সিজদাকারিদের জন্য পবিত্র রাখো। (০২:১২৫) একই ইতিকাফ বা মসজিদে অবস্থান নিয়ে সূরা বাকারার ১৮৭ এবং সূরা হজ্জের ২৫-২৬ নং আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে ‘লাইলাতুল ক্বদর প্রাপ্তি ও এই রাতে সঠিকভাবে ইবাদতের তাওফিক দান করুন। নফল নামাজঃ ন্যূনতম ৮ রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। এজন্য সাধারণ সুন্নাতের নিয়মে ‘দু’রাকাত নফল পড়ছি’ এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে। এ জন্য সুরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোন সূরা মিলালেই চলবে। বাজারে প্রচলিত কিছু বইতে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস ইত্যাদি উল্লেখ করে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। হযরত আশ্রাফ আলী নবী (র.), মাওলানা ইউসুফ ইসলাহী (র.) এবং এ পর্যায়ের বরেণ্য ফকিহরা এগুলো জরুরি মনে করেন না। বরং ওই সংখ্যকবার সূরা পড়তে গেলে হিসাব মিলাতে নামাজের একাগ্রতা নষ্ট হবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এছাড়া সালাতুত তওবা, সালাতুল হাজত, সালাতুত তাসবিহ নামাজও আপনি পড়তে পারেন। এগুলোর নিয়ম আপনি মাসয়ালার বইগুলোতে পাবেন। রাতের শেষভাগে কমপক্ষে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা আমরা অবশ্যই করব। কারণ এ নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ নফল নামাজ। আর রাতের এ অংশে দোয়া কবুল হয়। নফল নামাজের সংখ্যার হিসাবের চেয়ে নামাজের গুণগত দিকটির দিকে আমাদের বেশী লক্ষ্য রাখতে হবে। জিকির ও দোয়াঃ হাদীসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারে বারে পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা.) কে বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্-যদি কোন প্রকারে আমি জানতে পারি রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে কী দোয়া করব? জবাবে নবী (সা.) বলেন, এ দোয়া পড়বে আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুববুন কারিমুন তুহিববুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।” আয় আল্লাহ্ তুমি বড়ই মাফ করনেওয়ালা এবং বড়ই অনুগ্রহশীল। মাফ করে দেয়াই তুমি পছন্দ কর। অতএব তুমি আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দাও। হযরত আয়েশা (রা.)কে শিখানো দোয়া আমরা আবেগের সাথে বারে বারে পড়ব। মুনাজাতঃ মুনাজাতের মাধ্যমে বান্দার বন্দেগী ও আল্লাহর রবুবিয়াতের প্রকাশ ঘটে। বান্দাহ তার প্রভুর কাছে চায়। প্রভু এতে ভীষণ খুশি হন। মহান আল্লাহ্ তার বান্দার প্রতি এতটাই অনুগ্রহশীল যে, তিনি তার কাছে না চাইলে অসন্তুষ্ট হন। “যে আল্লাহর নিকট কিছু চায় না আল্লাহ্ তার ওপর রাগ করেন”- (তিরমিযি)। “দোয়া ইবাদতের মূল’- (আল- হাদীস)। “যার জন্য দোয়ার দরজা খোলা তার জন্য রহমতের দরজাই খোলা রয়েছে’’- (তিরমিযি)। কাজেই আমরা কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করব, ক্ষমা চাইব, রহমত চাইব, জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইব। মনের আবেগ নিয়ে চাইব। চোখের পানি ফেলে চাইব। আল্লাহ্ আমাদের খালি হাতে ফিরাবেন না ইনশাআল্লাহ্। রসূল (সা.) এর বাণী আশার আলো জ্বেলেছে হৃদয়ে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘তোমাদের পরওয়ারদিগার লজ্জাশীল ও দাতা; লজ্জাবোধ-করেন যখন তাঁর বান্দা তার নিকট দু’হাত উঠায় তখন তা খালি ফিরিয়ে দিতে”- (তিরমিযী, আবু দাউদ, বায়হাকী- দাওয়াতে কবীর)। মহান আল্লাহ তায়ালা এই রাতের মহিমা, ফজিলত ও সংজ্ঞা বা পরিচয় প্রদান করতে গিয়ে বলেছেন লাইলাতুল ক্বদর সেই রজনী যে রজনী হাজার মাস তথা ৮৩ বছর ৪ মাসের চেয়েও অতি উত্তম”। পবিত্র মাহে রমজানে মহান এই রজনী নিহিত থাকলেও কোন রজনীতে নিহিত তা কুরআন ও হাদিসে সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা নাই। তবে মাহে রমজানের শেষ দশ দিনের কোন এক বিজোড় রাতেই ক্বদর রাত্রি। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা গোটা জীবনটাই এভাবে কাটান। আমাদের সে জীবনে প্রবেশ করতে হলে দরকার অধ্যবসায়। পবিত্র রমযান বিশেষ করে লাইলাতুল ক্বদরের অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা আমাদের উদ্দেশ্য লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। মুসনাদে আহমেদ গ্রন্থে’ হযরত ওবায়দা ইবনে সামেত বর্ণিত হাদীসে উদ্ধৃত হয়েছে- “নবী করীম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ক্বদরের রাত রমজান মাসের শেষ দশ রাতে রয়েছে। যে ব্যক্তি উহার শুভফল লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, আল্লাহ্ তার আগের পিছনের গুণাহ মাফ করে দিবেন।” সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে এবং সাওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় এ রাতে রাত্রি জেগে ইবাদত-বন্দেগি করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সকল পাপ মোচন করে দেয়া হবে।’ উপরোক্ত আমলের মাধ্যমে আমরা এ পবিত্র রাতগুলো কাটাতে পারি। লাইলাতুল ক্বদর পাবার তামান্না নিয়ে নিষ্ঠার সাথে অনুসন্ধান করলে আল্লাহ্ আমাদের বঞ্চিত করবেন না ইনশাআল্লাহ্। অবশ্য নফল ইবাদত নীরবে নিভৃতে ঘরে আদায় করাই মাসনুন। এতে আমাদের ইবাদত রিয়া (প্রদর্শন ইচ্ছা) দোষে দুষ্ট হবার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ পবিত্র রাতে কিছু অনাকাক্সিক্ষত কাজ হতে দেখা যায়। এগুলো বন্ধ করার জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়া দরকার। আল্লাহ্ আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদর নসীব করুন এবং এ রাতের নিরাপত্তা ও কল্যাণ দান করুন।
লেখক : গবেষক, সাংবাদিক