পবিত্র ঈদুল ফিতরে নিরাপদ ট্রেন চলাচলের বিষয়ে তৎপর হয়েছে রেলওয়ে। ঈদযাত্রায় যাত্রীরা যাতে কোনো দুর্ঘটনার মুখে না পড়েন, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নির্দেশনা অনুযায়ী রেললাইনে থাকবে নজরদারি ও টহল।
রোববার (২৪ মার্চ) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সময়মতো ট্রেন পরিচালনা করতে হবে। নিচে নির্দেশনাগুলো দেয়া হলো:
১. ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রেলওয়ের রেলপথগুলো (ট্র্যাক) ওয়েম্যান ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য প্রতিটি নিয়ন্ত্রণকক্ষে কর্তব্যরত ওয়েম্যান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মুঠোফোন নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।
২. প্রয়োজনে মোটর ট্রলি দিয়ে রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলীদের অধীন থাকা কর্মীদের সমন্বয়ে টহল দিতে হবে।
৩. স্টেশনমাস্টার, পরিদর্শক ও জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলীরা নিজ নিজ এলাকার রেলওয়ে ট্র্যাক (রেলপথ) সার্বক্ষণিক তদারকি এবং তা নিয়ন্ত্রণকক্ষকে অবহিত করবেন।
৪. প্রত্যেক বিভাগীয় প্রকৌশলীরা টহল কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করবেন।
নিরাপদ যাত্রার জন্য চার ধরনের নির্দেশনা দেয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
গত ১৬ মার্চ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলস্টেশন-সংলগ্ন ঢালুয়া ইউনিয়নের তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। লাইনচ্যুত হওয়ার পর বগিগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের উভয় লাইনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর দুই দিন পর ১৮ মার্চ রাতে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। এসব দুর্ঘটনার কারণে ট্রেনে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ রাখতে চার নির্দেশনা দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।