রমজানে নিত্যপণ্যের দামে ঝাঁজ বেড়েছে সব রকম মসলায়। ঈদের অনেক আগেই রকমভেদে মসলার দাম ৫০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একদিকে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস, অন্যদিকে রমজানের প্রথমার্ধেই এসব পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে।
বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘিরে এ চিত্র দেখা গেছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার, চকবাজারসহ আরও কয়েকটি বাজার ঘুরে মসলার দরদাম দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। মসলাটির কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে দারুচিনি, গোল মরিচ, সাদা মরিচ, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গত রমজানে যে এলাচ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি ছিল, এবার তা ২ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনির দাম কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে ৪৬০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০০ টাকার কিশমিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা কেজিতে। দুই মাসে আগের ১ হাজার ৪৫০ টাকা লবঙ্গ এখন ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে ৫০-১২০ টাকা পর্যন্ত কম থাকা কালো গোল মরিচ ৮২০ টাকা, সাদা মরিচ ১ হাজার ২০০ টাকা, আলুবোখারা ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়, কাজু বাদাম ১ হাজার ১৮০ টাকা এবং পেস্তাবাদাম ৩০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু দোকানে এর বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চালাকি করে রোজার শুরুতেই দাম বাড়িয়েছে, যাতে করে ঈদের আগে দাম বাড়ানোর অভিযোগ না ওঠে। বাজার মনিটরিংয়ের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট একটা সেলের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন অনেক ক্রেতা।
পুরান ঢাকার ক্রেতা আবু নোমন অভিযোগ করেন, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় মূল্যের কোনও মিল নেই। তালিকা থেকেও অনেক বেশি দামে মসলা বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যপারে ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন অভিযোগ দেয়।
দাম বাড়ার বিষয়ে সরবরাহ ঠিক না থাকাসহ বিভিন্ন অজুহাতের কথা বলছেন মসলা ব্যবসায়ীরা। তালিকা দোকানের সামনে উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে এক বিক্রেতারা জানান, ‘দোকানে আপাতত সবাই ব্যস্ত। কাজ করতে গিয়ে হয়তো দোকানের কর্মচারীরা অন্য জায়গায় রেখেছে।’