বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ চলতি বছর ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং আগামী বছরও একই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত সোমবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ব্রিফ অনুসারে, সাম্প্রতিক ব্যালান্স অব পেমেন্ট সংকটের কারণে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নীতির কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার প্রবাসীদের কালোবাজারের সুবিধা নিতে এবং অনানুষ্ঠানিক ও আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে অর্থ লেনদেন করতে উৎসাহিত করেছে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড ১২ দশমিক ৪৬ লাখ কর্মী বিদেশে গেছে, যা গত বছর ছিল ১১ দশমিক ৩৫ লাখ। কর্মী প্রেরণে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হলেও বিগত দুবছর রেমিট্যান্সের প্রবাহ ২২ বিলিয়ন ডলারের আশপাশেই আটকে ছিল। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১১ মাসে দেশে ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী বছর উপসাগরীয় দেশগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। এ দেশগুলো আবার বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক থাকতে পারে। পাশাপাশি তেলের দাম কম হওয়ায় ২০২৪ সালে ওই দেশগুলোতে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইউরো এরিয়া ও জিসিসি দেশগুলোতে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৪ সালের রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।