বড় টার্গেটের স্বপ্ন বুনেই চা বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হক জুটিও ভালোভাবেই পুঁজি বাড়াচ্ছিলেন। তবে হঠাৎ দ্রুত সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। দলীয় ১১৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারালেও সিলেট টেস্টে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯ রানে লাঞ্চে যায়। তবে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
দলীয় ২৬ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে লাল-সবুজ শিবির। গেল দুই দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার বাড়তি টার্ন পেয়েছেন স্পিনাররা। তাতেই পরাস্ত হন জাকির। ইনিংসের ১৩তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের অফ-স্ট্যাম্পের অনেকটা বাইরের বল জাকিরের পায়ে আঘাত করে। এতে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। ৩০ বলে ১৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
পরের ওভারেই আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার জয়ও। সাউদির বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন শান্ত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তা সাউদির হাত স্পর্শ করে বল আঘাত হানে নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্ট্যাম্পে। এ সময়ে পপিং ক্রিজের বাইরে ছিলেন জয়। ফলে একরাশ হতাশা নিয়ে তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করা জয় এবার মাত্র ৮ রানে আউট হয়েছেন।
শুরুর সেই ধাক্কা বেশ ভালোভাবেই সামাল দেয় টিম টাইগার্স। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন শান্ত ও মুমিনুল।
তবে ভুল কল দিয়ে রান আউট হয়েছেন মুমিনুলও। ডাউন দ্য উইকেটে এসে সোজা শট খেলেন সাবেক এই দলপতি। ফিল্ডারের কাছে বল যাচ্ছে দেখেও দৌড় দেন তিনি। এ সময়ে শান্ত সাড়া না দেওয়ায় রান-আউটের ফাঁদে পড়েন মুমিনুল। এতে ভাঙে তাদের ৯০ রানের জুটি।
এরপর দলীয় স্কোর বাড়ানোর দায়িত্ব পরে মুশফিক ও শান্তর ওপর। তাদের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে নাম লেখান শান্ত। তৃতীয় দিন শেষে শান্ত ১০৪ ও মুশি ৪৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে টাইগারদের তিন শ’ ছাড়ানো পুঁজি এনে দিতে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন জয়। এ ছাড়া ৩৭ করে রান যোগ করেন শান্ত ও মুমিনুল। শাহাদাত ২৪, মিরাজ ২০ ও সোহান খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।
কিউইদের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। মিডল-অর্ডারে ড্যারেল মিচেল ৪১ ও ফিলিপস ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া জেমিনসন ও সাউদির ব্যাট থেকে আসে ২৩ ও ৩৫ রানের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ব্ল্যাক-ক্যাপসদের খণ্ডকালীন অফ-স্পিনার ফিলিপস তুলে নেন ৪ উইকেট। জেমিনসন ও অ্যাজাজ প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়া গোল্ডেন হ্যান্ড বনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট মুমিনুল হক। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।