ওয়ানডে হোক কিংবা টেস্ট; উইকেট বিলিয়ে দেওয়া যেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের অভ্যাস। সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনও ওই রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি টাইগার ব্যাটারদের। টস জিতে ফ্রেশ উইকেট পেয়েও তাই বড় রানের পথে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৮৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান তুলেছে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তিনশ’র গন্ডি পেরিয়ে দিন শেষ করাই যেন স্বস্তি।
স্পিন সহায়ক হলেও উইকেটে আহামরী কিছু ছিল না। বাঁ-হাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেলের দিনের সেরা বলটায় ওপেনার জাকির হাসান (১২) বোল্ড হন। ঠান্ডা মাথায় খেলা মাহমুদুল জয়ের সঙ্গে টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়া নাজমুল শান্ত দলকে আশা দেবেন এমনই প্রত্যাশা ছিল দলের। কিন্তু তিনি ওয়ানডের চেয়েও দ্রুতগতির ব্যাটিং করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন।
শান্ত ৩৫ বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় ৩৭ রান করেন। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারার লোভ সামলাতে না পেরে গ্লেন ফিলিপসের ফুলটস বলে ক্যাচ দেন তিনি। নিজের সবচেয়ে বাজে বলটায় উইকেটে পেয়ে বিস্ময়ে মাথায় হাত দেন কিউই অলরাউন্ডার।
তৃতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি দেন ওপেনার জয় ও চারে নামা মুমিনুল হক। ওটাই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সেরা জুটি। মুমিনুল ৭৮ বলে ৩৭ রান করে আউট হন। একটু পরই সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন তরুণ ওপেনার জয়। তিনি ১৬৬ বল খেলে ১১টি চারের শটে ৮৬ রান করেন। ১৮৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে ২৯০ রানে ৯ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। অর্থাৎ ১০৬ রান যোগ করে পরের ৬ ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক ১২ রান করে অদ্ভূতভাবে আউট হন। তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু আশা দিলেও ৫৪ বলে চারটি চারের শটে ২৪ রান করে ফিরে যান। মিরাজ ৩০ বলে ২০ রান করে আউট হন। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানও ধৈর্য্যর পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে ২৮ বলে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দিন শেষ করেন তাইজুল (৮) ও শরিফুল (১৩)।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা কিউই অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস ১৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। সেখানে দলটির মূল স্পিনার আজাজ প্যাটেল ২৪ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া দীর্ঘদেহি পেসার কাইল জেমিনসন ২ উইকেট তুলে নেন।