মিয়ানমারে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের দমাতে সামরিক বাহিনী আরও কয়েকটি ফ্রন্টে হামলা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে সোমবারও (১৩ নভেম্বর) নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক চৌকিতে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হাজারো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী ভারতে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও সরকারি কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্স।
মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চিন জেলার ডেপুটি কমিশনার জেমস লালরিনছনা বলেন, চিন অঞ্চল থেকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ভারতের মিজোরাম রাজ্যে প্রবেশ করেছে।
দুই বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সম্প্রতি সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। ২৭ অক্টোবর দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে একযোগে সমন্বিত হামলা শুরু করে। ইতোমধ্যে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে হটিয়ে একাধিক শহর ও শতাধিক সামরিক চৌকির দখল নেয়।
এর আগে দেশটির সামরিক জান্তা সরকারের প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত সোয়ে বলেছেন, বিদ্রোহ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ায় মিয়ানমার ভৌগোলিক অখণ্ডতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে দেশটির জেনারেলরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
সেনা অভ্যুত্থানের প্রায় দুই বছর পর এবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ জটিল আকার ধারণ করেছে। রোববার বিদ্রোহীদের হামলায় মিয়ানমারের জান্তা সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। বিমান বিধ্বস্তে হামলার দায় স্বীকার করে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। কায়াহ প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল কারেন্নি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ)-এর দায় স্বীকার করে।