গাজায় ইসরায়েল স্থল অভিযান চালালে তা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সংগঠনটির একজন শীর্ষ নেতা শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এএফপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
গাজায় গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। এর পাশাপাশি গত দুই দিন আগে গাজায় ছোট আকারে স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। সামনের দিনগুলোতে গাজায় স্থল অভিযান আরও বিস্তৃত করা হবে ইঙ্গিত দিয়েছেন আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি।
শুক্রবার জেরুজালেমে এক ব্রিফিংয়ে হ্যাগারি বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক হামলার পর শুক্রবার রাত থেকে গাজায় স্থল অভিযানের ব্যপ্তি বাড়ছে।
তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টেলিগ্রামে পোস্ট দেন ইজ্জত আল রিশাক। সেখানে হামাসের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘যদি নেতানিয়াহু শুক্রবার রাতে গাজায় প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে আমরা বলব- আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি এবং তার সব সৈন্যকে গাজা ভূখণ্ড গিলে খাবে।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত রকেট হামলা চালায় হামাস। সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে ২২০ জনকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
এই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় বিমান অভিযান পরিচালনা শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, যা এখনও অব্যাহত। গত ২০ দিনের এই যুদ্ধে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ হাজার।
গাজায় বিমান অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং মিসর ও গাজার সীমান্ত পথ রাফাহ ক্রসিংও বন্ধ করে দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী।
সম্প্রতি সেই সীমান্ত পথ খুলে দেওয়া হয়েছে এবং সেখান দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাকও প্রবেশ করছে গাজায়, কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল বলে উল্লেখ করেছেন আনরোয়ার শীর্ষ নির্বাহী ও জাতিসংঘের হাই কমশানার ফিলিপ লাজারিনি।