বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি বলেন, ভূমিহীন ও আশ্রয়হীন মানুষের সর্বশেষ ঠিকানা শেখ হাসিনা। তিনি মানুষের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে ভাবেন। অসহায় মানুষগুলোর দুঃখ দুর্দশা রোধ করতেই প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। এ পর্যন্ত সারাদেশে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে পুনর্বাসন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপর-৪ সংসদীয় আসনের কমলনগরের চরকাদিরা গুচ্ছ গ্রাম আশ্রয়প্রকল্প ও মেঘনা নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উপজেলার আরও কয়েকটি আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
লাইলী বলেন, লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে নদী ভাঙনরোধে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। কমলনগর ও রামগতিতে নদী ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বড় প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাত ৩১শ’ কোটি টাকার সেই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সারাদেশের মতো লক্ষ্মীপুরেও উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশী ও বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসনের মতো জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেন। তাই তিনি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মডেল’ সামনে এনে পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল মানুষকে মূলধারায় আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। একই বছর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্বাবধানে শুরু করেন “আশ্রয়ণ প্রকল্প”।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিঞা মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু, কমলনগর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রাজু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সি এম আবদুল্লাহ, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেল, কমলনগর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি নুর উদ্দিন চৌধুরী রুবেল।
ভুমিহীনদের আশ্রয়ের শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনা : লক্ষ্মীপুরে ফরিদুন্নাহার লাইলী
আজনিউজ২৪ :
0 Views