একটি জাতীয় পত্রিকার সংবাদ প্রকাশের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নাম তার …, কাজ করে অন্ধকারে। একটা শিশুর হাতে ১০টাকা তুলে ধরে এ রকম মিথ্যাচার করতে পারে!পত্রিকাটি আওয়ামী লীগের শত্রু, দেশের শত্রু ও জাতির শত্রু। প্রধানমন্ত্রী সোমবার জাতীয় সংসদে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে। যাদের গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্বই থাকবে না, অগণতান্ত্রিক ধারা। একটি ৭ বছরের শিশুর হাতে দশ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার মুখ থেকে ‘ভাত মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই’ বলিয়ে সেটি রেকর্ড করে প্রচার করা। স্বনামধন্য একটি পত্রিকা, খুবই জনপ্রিয়। নাম তার প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু ও দেশের মানুষের শত্রু। এরা এই দেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল, বাহাবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে রয়েছে একজন সুদখোর। যিনি আমেরিকার বড়ই প্রিয়। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাস করে না যে, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি, যিনি সরকারি বেতন তুলতো। কোথা থেকে তিনি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পেলেন যে, আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করেন, বিনিয়োগ করেন দেশে-বিদেশে। এই অর্থ কোথা থেকে আসে, এটা কি কখনও তারা জিজ্ঞাস করেছে? করেনি। অথচ তাদের কাছে দুর্নীতির কথা, মানবতার কথা শুনতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে, নিজেরা বিনিয়োগ করে শতকোটি টাকার মালিক হয়ে আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। এইসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র স্থায়ীভাবে পরিচালিত হয়েছে বলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।’
এ সময় প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে, অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে তারা জাতিকে কি দিয়েছে? হ্যাঁ, তারা নিজেদের ভাগ্য গড়েতে পেরেছে। আমাদের দুর্ভগ্য তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়।’