সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ওই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বাসে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩৫ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন মারাত্মক বা আংশিক আহতাবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১৩ জন নিহত ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচ বাংলাদেশি। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই মৃত, কিন্তু তাদের মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। অন্য দেশের ১২ জন যাত্রীদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত এবং সাতজনকে আহতাবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যাচ্ছিলেন। বাসের ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গালফ নিউজ ও আরব নিউজের খবরে বলা হয়।
শুরুতে দুর্ঘটনায় আটজন প্রবাসী বাংলাদেশির নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) কাজী এমদাদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
এর আগে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, বাংলাদেশে সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ৩৫ জন আহত যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন। বাকি ১৭ জনের মধ্যে নিহত আটজনের পরিচয় জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নিহত বলে ধারণা করছে জেদ্দার বাংলাদেশ মিশন।
মিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ পুড়ে গেছে। তাদের নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে।’
নিহত ১৩ জন হলেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আবুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, একই উপজেলার রাসেল মোল্লা, নোয়াখালী জেলার মো. হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. আসিদ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবিদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, একই জেলার ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।
সৌদিতে পঞ্চম রমজানে এ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত আল এখবারিয়া চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, বাসটির সামনে অন্য কোনো গাড়ি চলে এসেছিল। অন্যদিকে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম ওকাজ বলছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে (ব্রেক ফেল) বাসটি ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়, এরপর গাড়িটিতে আগুন ধরে যা