সারা বাংলা ডেস্ক: শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীর যেনো আগ্রাসী রূপ নিয়েছে। অসময়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদীভাঙন। ভাঙনে বিলীন হয়েছে সিরাজগঞ্জের পাঁচঠাকরী গ্রামের নদী তীরবর্তী প্রায় দেড়শত মিটার এলাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ নদীতে বালু উত্তোলন আর ডান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ না করায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরিভাবে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) ভোর থেকে আকস্মিক ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকরী গ্রামে নদীর ডানতীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প সংলগ্ন প্রায় দেড়শত মিটার এলাকা। ফলে ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। শুষ্ক মৌসুমে এমন ভাঙনে দিশেহারা এলাকার মানুষ। জরুরিভাবে ভাঙন রোধ করতে না পারলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা হুমকির মুখে পড়বে বলছে ভাঙন কবলিতরা।
ভাঙন কবলিতদের দাবি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুত শুরু করার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার বলেন, ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যমুনা নদীর ভাঙন রোধে প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী থেকে কাজিপুরের পাটাগ্রাম পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার যমুনা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।