ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ কাটিয়ে উঠার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম হ্যালোইন উৎযাপন ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দেশটির রাজধানী সিউলে নাইটলাইফ জেলায় হ্যালোইন উৎসবের পার্টিতে যাওয়ার সময় অন্তত ১৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের অধিকাংশই তরুণ।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রদিবেদনে বলা হয়েছে, কেন এমনটা ঘটলো তা জানার জন্য কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা চোই সিওং-বিওম জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে পদলিত হয়ে অনেক লোক পড়ে গিয়েছিল এবং এতে কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খলা শুরু হওয়ার আগেই পার্টিগামীরা সরু রাস্তায় এতটাই আঁটসাঁট হয়েছিল যে, সেখানে চলাফেরা কঠিন ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী সুং সেহিউন জানিয়েছেন, জায়গাটি জ্যাম করা পাতাল রেলের মতো ছিল। আমি লোকদের বাম দিকে যেতে দেখেছি এবং বিপরীত দিকে যেতে দেখেছি। সেখানে শ্বাস নেয়া কষ্টকর ছিল।
এদিকে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, কিছু লোক হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছিল। জরুরি সহায়তা সংস্থার কর্মকর্তারা আশপাশের কমপক্ষে ৮১ জনকে শ্বাস নিতে অসুবিধা জানিয়ে সহায়তা করেছে। তবে গ্যাস লিক বা আগুনের প্রাথমিক বিষয়গুলো সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
পুলিশ ঘটনাস্থল এলাকা বন্ধ করে দিয়েছে এবং সোশ্যালের ভিডিওতে দেখানো হয়েছে, হ্যালোইন উৎসবের পোশাক পরা মানুষ রাস্তায় এবং স্ট্রেচারে পড়ে আছে। তাদের সাহায্য করা হচ্ছে এবং আহতদের নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সারি সারি রয়েছে।
ইয়ংসান হেলথ সেন্টারের প্রধান চোই জায়ে-উওন জানিয়েছেন, কয়েক ডজন মানুষকে কাছাকাছি সুবিধায় স্থানান্তর করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ একাধিক হাসপাতালের মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।