আগের দুই ম্যাচে গোল পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তো আত্মঘাতী গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। এরপর ভুটানের বিপক্ষে করেছে ২ গোল। তবে আজ ইয়েমেনের বিপক্ষে শুরু থেকেই অন্য চেহারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুর ২০ মিনিট তো দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে ইমরান খানরা। কখনো মিরাজুল ইসলাম, কখনো মোলতাজিম আলম ভীতি ছড়িয়েছে ইয়েমেনের বক্সে। ৭ মিনিটেই মোলতাজিমের শট ক্রসবারে লেগে ফেরে!
সে তুলনায় প্রথম পাওয়া সুযোগটাই দারুণভাবে কাজে লাগায় ইয়েমেন। মূলত বক্সের মধ্যে বাংলাদেশের মিডফিল্ডার চন্দন রায়ের অহেতুক ফাউলেই ম্যাচের মোড়টা মুহূর্তে ঘুরে যায়। ২৩ মিনিটে ইয়েমেনের ফরোয়ার্ড আবদুল রহমান আবদুল্লাহকে ফেলে দেয় চন্দন। এরপরই রেফারি বাজিয়েছেন পেনাল্টির বাঁশি। আনোয়ার হুসাইন আল-তুরাইকির পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় ইয়েমেন (১-০)।
৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইয়েমেনের মোহামেদ ওয়াহিব নোমান। ডান প্রান্ত থেকে আল-তুরাইকির ক্রস ফিস্ট করে ফেরায় বাংলাদেশের গোলরক্ষক সোহানুর রহমান। কিন্তু ফিরতি বলেই বাঁ পায়ের জোরালো শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ায় নোমান।
আগের দুই ম্যাচে ভুটান ও সিঙ্গাপুরের জালে ১৪টি গোল দেয় ইয়েমেন। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে ৮ গোল করে ৮ জন ফুটবলার। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৬ গোল দেয় ৫ জন। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে এগিয়ে থাকা এই ফুটবলাররা বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ঝলক দেখাতে পারছিল না শুরুতে। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার খানিক আগে ইয়েমেন ফেরে তাদের আসল চেহারায়। পাসিং ফুটবলে মুগ্ধ করে দর্শকদের। বক্সের বাইরে থেকে আহমেদ মুস্তাফা আল-হাজ ব্যাক হিলে প্রথমে বল দেন ওয়াহিম নোমানকে। এরপর নোমানের বাড়িয়ে দেওয়া বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন আবদুল্লাহ, পাশেই দাঁড়ানো আব্বাস কাশেম এরপর আলতো টোকায় করেন ম্যাচের তৃতীয় গোল (৩-০)।
হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটে ভুটানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে খেলেনি মিরাজুল। তবে মিরাজুল আজ ফিট অবস্থায় মাঠে নামে। শুরুতে কয়েকটি ভালো আক্রমণও করেছে মিরাজুল। কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় কোনো গোল পায়নি সে।
দ্বিতীয়ার্ধে কোচ পল স্মলি বদলি হিসেবে মাঠে নামান পাঁচ ফুটবলারকে। কিন্তু ম্যাচের ভাগ্য বদলায়নি। বরং আরও বেশি আক্রমণে উঠেছে ইয়েমেন। ৭৭ মিনিটে অরক্ষিত মোহামেদ আমের আলবারওয়ানি করেছে ম্যাচের চতুর্থ গোল। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত গোল বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের গোলরক্ষক সোহানুর রহমান। না হলে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত ইয়েমেন।