সারা বাংলা ডেস্ক: আগ্রাসী রূপ নিয়েছে যমুনা-পদ্মা, তীব্র ভাঙনে নিঃস্ব বহু মানুষ। এই অবস্থায় পদ্মার ভাঙনরোধে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাও। আর দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে ভাঙন দেখা দেয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে ওই ঘাটের পল্টুন।
কয়েকদিন ধরে বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে সিরাজগঞ্জের জালালপুর গ্রামে। নদীতে ক্যানেল সৃষ্টি হয়ে তুমুল স্রোত আঘাত হানছে পশ্চিমপাড়ে। গত পাঁচদিনে নদীর পেটে চলে গেছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি। ভিটেহারা মানুষ আশ্রয় নিচ্ছেন অন্যত্র।
স্থানীয় একজন বলেন, ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। মানুষ কোথায় যাবে। আরেকজন বলেন, পশ্চিম দিকে বাঁধের যাতে ব্যবস্থা করে। আমরা তো বাস্তুহারা হয়ে গেছি। গরিব মানুষ গুলো আছে তাদের যেন থাকার মতো একটা জায়গা হয়।
ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে নদীতে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মিলটন হোসেন বলেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমে উক্ত এলাকায় নদীটির সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এতে উক্ত এলাকায় ভাঙনরোধ করা সম্ভব হবে। তাই আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।
এদিকে আগ্রাসী হচ্ছে পদ্মাও। কদিন ধরে মুন্সিগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়নের সরদারকান্দি এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। আশ্রয়হীনদের জন্য ব্যবস্থা তো দূরে থাক খবর নিচ্ছেন না কেউ এমন অভিযোগ ভাঙন কবলিত মানুষের।
স্থানীয় একজন বলেন, সরকার তো নেয় না মানুষও নেয় না। আমাদের ঘরবাড়ি সব নিয়ে গেছে, আমাদের কিছু নেই, আমরা নিরুপায়। আরেকজন বলেন, কেউ কোনও ব্যবস্থা করছে না। আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো, কার কাছে দাঁড়াবো।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে বললেন, ভাঙনরোধে এই মুহূর্তে তাদের কিছুই করার নেই।
পদ্মার স্রোতে দৌলতদিয়া পাড়ের ৫ নম্বর ফেরি ঘাটের একাংশ ভেঙে গেছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ওই ঘাটের পল্টুন।