সারাবাংলা ডেস্কঃ চাঁদপুর অঞ্চলের মাঝিরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা জলদস্যুতা রোধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে জাজিরা শরিয়তপুর এলাকার পদ্মা নদীতে নৌ টহল ডিউটি করা কালীন গোপন সংবাদ পায় যে, একদল কুখ্যাত জলদস্যুর দল নৌ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।উক্ত সংবাদ টি তারা পুলিশ সুপার ,চাঁদপুর অঞ্চলকে অবহিত করলে তার দিক নির্দেশনায় টহলরত নৌ পুলিশ দল শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানাধীন পালেরচর নামক স্থানে পৌঁছায়।সেখানে তারা ১২/১৩ জন জলদস্যুদের স্পীড বোট যোগে নৌ ডাকাতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অবস্থায় দেখতে পায়।
নৌপুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই জলদস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।নৌ পুলিশ সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে।গোলাগুলির এক পর্যায়ে জলদস্যুর দল মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার পদ্মা নদীর ডহুরী খালের দিকে স্পিডবোট নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে নৌ পুলিশ সদস্যরাও স্পীডবোট যোগে জলদস্যুদের ধাওয়া করে ০১.জলদস্যু মো:আক্তার হোসেন(৩০),০২. জলদস্যু মো: ইকবাল মুন্সী ওরফে সুমন(২৮),০৩. জলদস্যু মো:আবুল বাশার(২২) ০৪. জলদস্যু মো:শাকিল দেওয়ান(২১),০৫. জলদস্যু মো:ইয়ামিন(১৯)কে গ্রেফতার করে।এই অভিযানে ০২টি আগ্নেয়াস্ত্র,০৭রাউন্ড সীসার গুলি কার্তুজসহ,০১টি স্পীড বোট,বিভিন্ন মডেলের ২০(বিশ)টি মোবাইল ফোন,০৮টি দেশীয় রাম দা,০১টি দেশীয় দা,০১টি স্ক্রু ড্রাইভার,০৫টি খালি তেলের ড্রাম এবং ১০লিটার পেট্রোল জব্দ করা হয়। অবশিষ্ট জলদস্যু
গ্রেফতারে এই অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
নৌ পথে জলদস্যুতা রোধে পরিচালিত অভিযান প্রসঙ্গে নৌ পুলিশ প্রধান জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার),পিপিএম জানান,”নৌ পথে ডাকাতি,চাঁদাবাজি সহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে নৌ পুলিশের প্রতিটি অঞ্চল কাজ করছে। নৌপথে নৌ সন্ত্রাস দমন না হওয়া পর্যন্ত নৌপুলিশের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”