ইকোনোমিক ডেস্ক: দুই বছরের মধ্যে এই প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আমদানির অর্থ পরিশোধ করায় এমনটা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটির আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১৯৯ কোটি ডলারের আমদানি দায় পরিশোধ করা হয়। তাতে বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৩৯ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ- এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যে সব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রিজার্ভ ছিল ৪১ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। গত এক বছর আগে এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।
২০২০ করোনা মহামারির মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে বাংলাদেশ। যা ২০২১ সালের অগাস্টে ৪৮ দশমিক ০৬ ডলারে পৌঁছায়।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পরই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এবং পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আমদানির খরচও বাড়তে থাকে। এতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় রপ্তানি ও রেমিটেন্স সেভাবে বাড়েনি। তাতে ডলারের মজুদে টান পড়ে, ভারসাম্য ঠিক রাখতে বাংলাদেশকে টাকার মান কমিয়ে আনতে হয়।
ইতোমধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার পার করেছে। ডলার বাঁচাতে গত এপ্রিল থেকে বিলাস পণ্য আমদানি কঠিন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার ব্যাংকে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ছিল ৯৩ টাকা ৪৫ পয়সা। আর নগদ ডলার কিনতে গ্রাহককে ব্যয় করতে হয়েছে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা। খোলা বাজারে ডলার এখন ৯৯ টাকায়।