ন্যাশনাল ডেস্ক: সব ধরনের অফিস ঈদের ছুটি হয়েছে, ফলে ভোর থেকেই ঘরে ফেরা মানুষের ভীর রয়েছে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরি বা লঞ্চে পদ্মা পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে বাস, মাহেন্দ্র ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় মানুষ বাড়ি ফিরছেন। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে দেখা যায় পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলো যখন দৌলতদিয়া ঘাটে থামছে প্রত্যেক ফেরি থেকে প্রচুর মোটরসাইকেল নামছে। এসব মোটরসাইকেলের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা ঢাকা থেকে অনেকটা বাধা ছাড়াই এসেছেন।
সরেজমিনে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ভোর থেকেই দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে ঘরে ফেরা মানুষের ভীর শুরু হয়। একই সঙ্গে দেখা যায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে প্রতিটি ফেরি থেকে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫টি করে মোটরসাইকেল নামছে। তবে দুপুর ১২টার পর ফেরিতে মোটরসাইকেল একটু কম দেখা যায়। এসব মোটরসাইকেলের চালকরা জানান, ফেরি পার হয়ে আসতে তাদের কোনও অসুবিধা হয়নি। কোনও রকম ঝামেলা ছাড়াই তারা ফেরি পার হতে পারছে।
ফেরি পার হয়ে আসা মোটরসাইকেল চালক নিজাম হোসেন জানান,আমি একটি বায়িং হাউজে মিরপুরে কাজ করি। গতকাল অফিস ছুটি হয়েছে। রাতে আমি যশোরের টিকিট কাটার জন্য বাস স্ট্যান্ডে এসে কোন গাড়ির টিকিট পাইনি। ফলে সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে যশোরের উদ্দেশে বের হই। পথে কোনও ঝামেলা হয়নি।
আনোয়ার সরদার নামে আরেকজন মোটরসাইকেল জানান, আমি গাজীপুরে থাকি। ঝিনাইদহে যাব। মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে কোনও ঝামেলাই পড়িনি। আর সরকার মোটরসাইকেল কেন বন্ধ করবো।
তিন চাকার অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ঢাকা খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ী অংশে এসব যানবাহন চলাচল করছে। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মাহেন্দ্র যাত্রী নিয়ে অন্য জেলাতেও চলে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, বাস টার্মিনালের পাশেই রয়েছে মাহেন্দ্র ও অটো স্ট্যান্ড। এসব মাহেন্দ্রের চালকরা চিৎকার করে যাত্রী ডাকছে। দৌলতদিয়া থেকে ১০ জন করে যাত্রী নিয়ে প্রতিটি মাহেন্দ্র ছেড়ে যাচ্ছে। দৌলতদিয়া থেকে কুষ্টিয়ার খোকসা, কুমারখালী, ফরিদপুরের মধুখালী, মাগুড়া ও যশোর পর্যন্ত যাচ্ছে এসব মাহেন্দ্র।
পাংশা হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, আমরা সার্বক্ষণিক সড়কে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু এসব মাহেন্দ্র ও অটো চালকরা খুবই চালাক। আমরা সড়কের যেখানে অবস্থান করি এসব চালকরা তার দুই কিলোমিটার দূর থেকেই গ্রামীণ পথ দিয়ে চলে যায়। তারপর যেগুলো আমাদের সামনে পড়ছে সেগুলো আটক করছি।
রাজবাড়ী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হাসান বলেন, প্রতিটা ঈদের আগে বলা হয় এসব অবৈধ যানবাহন সড়কে চলবে না। কিন্তু আমরা তার উল্টো চিত্র দেখি। দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালের পাশেই মাহেন্দ্র স্ট্যান্ড। তারা যাত্রী তুলছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এরা সড়কে চলাচল করছে। প্রশাসন যখন যায় তখন কিছু সময় বন্ধ থাকে পরে আবার চলে।