সিলেট ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল মো হামিদুল হক জানান, মোট নয়টি ব্যাটালিয়ন কাজ করছে। তারা দুর্গম এলাকায় পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধার, নতুন আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিতে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অন্যান্য স্থাপনা সুরক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে। এছাড়া ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে নেয়া হচ্ছে যান্ত্রিক সহযোগিতা।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানান, দুই উপজেলার অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। আমার সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছি। তারা রেসকিউ বোর্ড নিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। ক্রমেই এই অবস্থার অবনতি ঘটছে। ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে ৪৫ মিলিমিটার ও কানাইঘাটে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও ঢলে পরিস্থিতি আরও নাজুক।