
বিএসএমএমইউয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, ফিটোম্যাটারনাল মেডিসিন বিভাগ, রেডিওলজি ইমেজিং বিভাগ এবং ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের সমন্বয়ে এই পরীক্ষা চালু করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
এই সেবা চালু হওয়ায় এখন থেকে বিএসএমএমইউতে দেশেই মায়ের গর্ভে ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহে অর্থাৎ বাচ্চার আকার যখন দেড় থেকে দুই ইঞ্চি তখনই মায়ের গর্ভে ভ্রূণ ডাউন সিনড্রোম ও অন্যান্য ক্রোমোজোমাল ত্রুটিতে আক্রান্ত কি না তার ঝুঁকি নির্ণয় পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষায় উচ্চ ঝুঁকি পাওয়া গেলে তা আরেকটি পরীক্ষার মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবতোষ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্যাসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরপদার বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম। প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল দেশে ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুদের সংখ্যা ও সমাজে তার প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন। রোস ডায়াগনস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নরেন্দ্র ভাদ্রে ও জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ডা. দীপিকা জিনদাল গর্ভাবস্থায় ভ্রূণে জেনেটিক ত্রুটি নির্ণয়ের প্রযুক্তিগত ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় জনপ্রিয় হবার কারণ হলো অনেকগুলো বিভাগ একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এখানে ৫৭টি বিভাগ ও ১০৭টি কোর্স রয়েছে। আমাদের কোর্সগুলো আবার ইন্টার রিলেটেড। সব বিভাগ ও কোর্সের শিক্ষক চিকিৎসকরা সমন্বয় করে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন।