
হাছান মাহমুদ বলেন, রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর অবমাননা যেখানেই হোক, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। প্রতিবেশী দেশে যারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারত সরকার আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে, এ জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ।
একইসঙ্গে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি বা উস্কানির বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থার কথা বলেছেন সম্প্রচারমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো ধর্মের অবমাননাই আমরা বরদাশত করি না এবং অন্য দেশের ঘটনা নিয়ে কেউ যদি এ দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালায়, সেটি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য যা করেছেন, অতীতের কোনো সরকার তা করেনি। আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরোনো দাবি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কেউ প্রতিষ্ঠা করেনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা করেছেন। বহু বছরের পুরোনো কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিও শেখ হাসিনাই দিয়েছেন, পাশকৃতদের সরকারি চাকরিও দিয়েছেন। সারাদেশে স্থাপিত এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তবের আলেম ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যা কেউ কখনো ভাবেনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত সাড়ে ১৩ বছরে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে, করোনার মধ্যেও দেশ এগিয়ে গেছে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এ উন্নয়ন ও পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় বিএনপি ও তাদের কিছু মিত্রদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আবার ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে তাই সতর্ক থাকতে হবে।
এর আগে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ শামস উল আলম হিরু সম্মেলন উদ্বোধন করেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমারুল কবির সাবিনের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুবকর সিদ্দিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি এবং কেন্দ্রীয় সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি।