ইন্টারন্য্যাশনাল ডেস্ক, এইউজেডনিউজ২৪: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো ভারত। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে তিনজন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
শুক্রবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছেন ভারতের ১০ রাজ্যের মানুষ। বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে লাখো মানুষ। এর ফলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এসব শহর।
তবে প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বিক্ষোভে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। কর্ণাটকের মেঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়। পরে শনিবার পর্যন্ত সেখানে কারফিউ ঘোষণা এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য মোবাইল ইন্টারনেট স্থগিত করার আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া লখনৌতে্ পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন।
দিল্লিতে বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাস্তায় নেমে আসেন বহু বিক্ষোভকারী। যার জেরে সাময়িকভাবে আটক করা হয়ে বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে। বন্ধ করে দেয়া হয় দিল্লি-হরিয়ানা সীমানাও।
এদিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতারা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে গণভোটের দাবি তুলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা ভোট করা হোক। কারণ আপনাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, আপনারা যা কিছু করতে পারেন না।’
কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘কলেজ, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বন্ধ ও ভারতের কণ্ঠরোধ করতে ১৪৪ ধারা জারি করার কোনো অধিকার সরকারের নেই।’
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে অষ্টম দিনে পা দিল দেশের ১৩টি রাজ্যের বিক্ষোভ। ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই নরেন্দ্র মোদির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমালোচকদের দাবি, নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে জাত বিবেচনা ভারতের ধর্মনিরেপেক্ষ সংবিধানের ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। সূত্র : ইউএনবি