
দীঘিটির ইজারাদার আবদুল্যাহ আল মামুন জানান, দীঘিটি মূলত ‘যুগান্তর কিল্লা’য় বসবাসরত মানুষের। তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে দীঘির মাছ কিনেছেন। গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত ওই দীঘির মাছ ধরার জন্য পানি সেচ দিয়ে আসছেন। সেচ অবস্থায় পানি কিছুটা কমলে শুক্রবার বিকেলে বেড় জাল ফেলা হয় পুকুরে। জেলেরা জাল উপরে তুললে বেশ কিছু ইলিশ মাছ দেখতে পান। পরে সেগুলো উপরে তোলার পর গুনলে ৩৫টি হয়। এর মধ্যে ২টির ওজন প্রায় ৫০০ গ্রামের বেশি। অপরগুলো ২০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত। এর মধ্যে কিছু খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। অন্যগুলো বিক্রি করা হয়েছে।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ জানান, এ খবরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি জানান, গত বছর ঘুর্ণিঝড় ইয়ামের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ার দেখা দেয়। টানা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে ও নদীতে স্রোত থাকায় নিঝুমদ্বীপের প্রায় সব পুকুর ও দীঘির পাড় ভেঙে নোনা পানি প্রবেশ করে। ওই সময় দীঘিটিতে ইলিশের পোনা ডুকে পড়ে। যা গত কয়েক মাসে বড় হয়। শুধু এ দীঘি নয়, নিঝুমদ্বীপে এর আগেও একটি পুকুর ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, ইউনিয়নের প্রায় তিন পাশেই বঙ্গোপসাগর এবং উত্তরে মেঘনা। ফলে গত বছরের বন্যা ও জোয়ারের কারণে প্রায় পুকুরে নোনা পানি ঢুকে পড়ে। এ সময় নোনা পানির সঙ্গে সাগর ও নদীর মাছও এসব পুকুর ও দীঘিতে প্রবেশ করেছে।