
ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্টের আন্তর্জাতিক কার্যনির্বাহী সভাপতি ভগবান গোয়েল দাবি করেছেন, ‘কুতুব মিনার একটি ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ ছিল, যা ‘মহান রাজা বিক্রমাদিত্য’ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু পরে কুতুবউদ্দিন আইবেক এর কৃতিত্ব নিয়েছিলেন। কমপ্লেক্সে ২৭টি মন্দির ছিল যা আইবেক দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল। এসবের প্রমাণ পাওয়া যায়। কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে এখনও হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি দেখা যায়।’
বিক্ষোভকারীরা কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মসজিদের ভেতরে গণেশের মূর্তিগুলো সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’
এই নেতারা সম্প্রতি দাবি করেছিলেন যে ২৭টি হিন্দু-জৈন মন্দির ভেঙে প্রাপ্ত সামগ্রী থেকে মিনারটি তৈরি করা হয়েছিল।
এছাড়াও দিল্লির কিছু রাস্তার নাম বদলেরও দাবি জানিয়ে সরব দিল্লি বিজেপি। উত্তর দিল্লি পৌরসভাকে চিঠি লিখে দিল্লি বিজেপির প্রধান আদেশ গুপ্ত জানিয়েছেন, শাহজহান রোড, তুঘলক রোড, আকবর রোড, আওরঙ্গজেব লেন, হুমায়ুন রোডের নাম পরিবর্তন করার সুপারিশ করেছেন। বলা হয়েছে, মোগল আমলে দাসত্বের প্রতীক স্বরূপ এই রাস্তাগুলোর নাম পরিবর্তন করা হোক।
বিজেপি নেতা গুপ্তের পরামর্শ তুঘলক রোডের নাম বদলে করা হোক গুরু গোবিন্দ সিংহ মার্গ। একই ভাবে আকবর রোড, আওরঙ্গজেব লেন, হুমায়ুন রোড, শাহজহান রোডের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে মহারানা প্রতাপ রোড, আব্দুল কালাম লেন, মহর্ষি বাল্মীকি রোড এবং জেনারেল বিপিন রাওয়ত করা হোক। এর পাশাপাশি বাবর লেনের নাম পাল্টে ক্ষুদিরাম বসুর নামে রাখার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি।
এর আগে সম্রাট শাহজাহানের তৈরি তাজমহল কোনো দিন ‘তেজো মহালয়া’ নামে মন্দির ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটি তথ্য অনুসন্ধানী দল গড়ার আবেদন জানিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লাখনাউ বেঞ্চে আবেদন করেছিল বিজেপি। তাজমহলের বন্ধ থাকা কক্ষগুলো খুলে তা খতিয়ে দেখারও আর্জি জানানো হয়।