আবহাওয়ার পরিবর্তন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ আঘাত হানলেও যে কোনো দুর্ঘটনা ঠেকাতে নৌ খাত প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ঈদ-পরবর্তী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে পুনর্মিলনী শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে এবার মানুষ স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করেছে। দেশের মানুষ ক্রমেই সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা তৎপর ছিলেন বলেই এবারের ঈদে নৌ দুর্ঘটনা বা তেমন বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেনি। ঈদ শেষে মানুষ যাতে স্বস্তির সঙ্গে ফিরতে পারেন সে ব্যাপারেও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ৯৯৮ টন ভিজিএফের বরাদ্দকৃত চাল দেওয়া হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২৪ হাজার ৯৫৩টি জেলা পরিবারের জন্য ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। সরকারের এ মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসিক ২০ কেজি হারে মে-জুন দুই মাসের জন্য মোট ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল দেওয়া হবে।
গত ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ভিজিএফের চাল ১০ জুন মধ্যে উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেবল কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো: রাঙামাটি জেলার সদর, লংগদু বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা।
উল্লেখ্য, কার্প ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ বছর ইতোমধ্যে ১ মে থেকে তিন মাসের জন্য এ হ্রদের সব প্রকার মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে কাপ্তাই হ্রদে নৌপুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।