সেন্ট্রাল ডেস্ক: মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকায় ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ডায়রিয়ার এ রকম প্রকোপ দেখা যায়নি। এর অন্যতম কারণ হলো, বড় বড় বহুতলবিশিষ্ট ভবনের বাসিন্দারা ওয়াসার পানির লাইন কেটে নিজেরাই পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নিচ্ছেন। এতে ছিদ্র থেকে যাচ্ছে, যেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ঢুকছে। এ ছাড়াও কয়েক জায়গায় পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ কম পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে গত মার্চ থেকে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকাতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি কেন হলো, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি নিজেও এটি জানার চেষ্টা করছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা দেখেছেন, ঢাকায় ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়নি। এর কতগুলো কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভাতেও বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাচাই করে দেখা গেছে, ওয়াসা যে পানি দেয়, তার উৎসে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। এখন সব জায়গায় বড় বড় বহুতলবিশিষ্ট ভবন হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পানির লাইন বা পয়োনিষ্কাশন লাইনের সক্ষমতায় অসুবিধা হচ্ছে।
এখন মানুষ যেটা করছে সেটা হলো, ওয়াসার পানির লাইন কেটে নিজেরাই পাম্প বসিয়ে পানি টেনে আনছেন। সেই পানি টানার লাইনে ছিদ্র থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া ঢুকছে। প্রায় সব জায়গায় এটি হচ্ছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা কয়েক জায়গায় পানি পরীক্ষা করে দেখেছেন ক্লোরিনের পরিমাণ কম। এটাও অন্যতম একটি কারণ। পরে ওয়াসা সেখানে ব্যবস্থা নেয়ায় সেখানে কমে গেছে।
ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৭৪ লাখ কলেরার টিকা দেবে। কলেরার দুটি টিকা দিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে নিরাপদ থাকা যায়। আগামী ১০ থেকে ১৫ মের মধ্যে টিকা দেয়া শুরু হবে।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্যাংকগুলো পরিষ্কার রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে ওয়াসাকে বলা হয়েছে এবং তথ্য অধিদপ্তরকেও বলা হচ্ছে।