ইকোনোমিক ডেস্ক: মহামারি, যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় আবারও টালমাটাল বিশ্ব। এর প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও। অসহনীয় হয়ে উঠছে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি ও বাড়তি সুদের বোঝা।
করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নানা কারণে চলতি বছর বিশ্বে খাদ্য পণ্যের দাম রেকর্ড করেছে। বৈরি আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদন। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে কোটি কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা।
পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে এসব কারণের সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। ভুট্টা,গমসহ অনেক খাদ্যশস্যের শীর্ষ উৎপাদক ইউক্রেন এবং সারসহ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্যপণ্য ছাড়াও এখন উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি।
এসব পণ্যের জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অনেক দেশ নির্ভরশীল এই দুই দেশের উপর। নিত্যপ্রয়োজনীয় দুটি পণ্যের বাজারে এই অস্থিরতায় দেশে দেশে দেখা দিচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতা।
সম্প্রতি অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল এশিয়ার শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু। বিপর্যস্ত অর্থনীতির দায় নিয়ে সরকার পতন ঘটেছে পাকিস্তানে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। আর জ্বালানির বাড়তি দাম, মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চলমান আন্দোলনে পেরুতে প্রাণ গেছে অন্তত ছয়জনের।
সরকারগুলো নাগরিকদের চাপ কমানোর চেষ্টা করলেও ভঙ্গুর অর্থনীতি সেই সুযোগকে সীমিত করে দিয়েছে। মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় ৬০ শতাংশ দেশ ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এরফলে খাদ্য ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ কমিয়ে নিতে হচ্ছে। ভারত, আর্জেন্টিনা, মিশরের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত উন্নত অঞ্চল ইউরোপেও নাগরিকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।