‘নদী ভাঙন মানুষের কষ্ট আমি বুঝি’ লক্ষ্মীপুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সাজ্জাদুর রহমান ফরহাদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক বলেছেন, আমার বাপ-দাদার ঘরভিটা সবই হারিয়েছি, দাদার কবরস্থান ছাড়া কিছু রক্ষা পায়নি নদীভাঙ্গন থেকে। নদী ভাঙ্গার ব্যথা আমি বুঝি। ‘জনগণের দুঃখ, দুর্দশা লাঘব করতে সরকার সকল ধরনের কাজ করছে। ঝড়-জলোচ্ছ¡াসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে উপকূলীয় এলাকাকে নিরাপদ রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন।’
রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মাতাব্বর হাটে মেঘনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বেড়িবাঁধটি।
উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে ২৫তম দেশে অবস্থান করবে বাংলাদেশ।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও নদী ভাঙন এলাকার মানুষ। নদী ভাঙন মানুষের কষ্ট বুঝি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ভাঙনকবলিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করছি। মানুষ যখন ঘুমায়, তখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলীরা রাত জেগে জনগণের জন্য কাজ করছে। এ জন্য তাদের কাজে উৎসাহ দিতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে উন্নত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাই পারে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে মেঘা এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে একটি পর্যটন এলাকা হবে লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলা।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান,লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী ফজলুর রশিদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিয়ন) প্রকৌশলী অখিল কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সহকারি পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মাস্টার প্রমুখ।
প্রসঙ্গ: লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদীর ‘বড়খেরী, লুধুয়াবাজার এবং কাদিরপন্ডিতেরহাট বাজার’ তীররক্ষা প্রকল্পটি ২০২১ সালের ১ জুন পাস করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক। গত বছরের ১৭ আগস্ট ই-জিপি টেন্ডার পোর্টাল এবং ১৮ আগস্ট পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।