আনিছুর রহমান সুজন ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত উল্যার মতো এমন অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে যথাযথ কৃর্তপক্ষের অসচেতনায়। ওসমানী সনদ, অস্ত্র জমাদানেররশিদ, মুক্তিবার্তাসহ অন্যান্য প্রমাণপত্র থাকারপরও গেজেটে নাম নেই মুক্তিযোদ্ধা হাসমত উল্যার।
রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি এবং সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সে সববীর এবং তাদের উত্তোরসুরীরা।সবচেয়ে বড় কথা সম্মান আর স্বীকৃতি।
মো. হাসমত উল্যা সাউদ, পিতা মরহুম মৌলভী আব্দুল কাদের সাউদ মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের একজন লড়াক ুসৈনিক। ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৩১অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃতিসন্তান তিনি।পাকিস্তান আমলে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরী করতেন।যুদ্ধ শেষে একই প্রতিষ্ঠানে পুনরায় যোগদান করেন।হাসমত উল্যাহ এফ.এফবাহিনীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং স্বক্রিয়ভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা।
২৬ মার্চের পর থেকেই তিনি দেশের জন্য যুদ্ধ করেন। ভারতের মেলাঘর থেকে এফএফ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগদেন করেন। তার সহযোদ্ধাদের বর্ণনা অনুযায়ী তিনি এস.এল. আর, এম.এম.জি ও গ্রেনেডের বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ২নং সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন।
যুদ্ধ সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে হাসমত উল্যা হসউদের। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধিনায়ক আতাউল গণীও সমানী এবং আঞ্চলিক অধিনায়ক (২ নম্বর সেক্টর) কর্ণেল খালেদ মোশাররফ এর স্বাক্ষরযুক্ত দেশ রক্ষাবিভাগ কর্তৃক স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ পত্র রয়েছে। এফ জোন (নোয়াখালী) কমান্ডার সামছুলহক কর্তৃক প্রত্যায়ন,সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন মুক্তিবাহিনী কমান্ডার কর্তৃক প্রত্যায়ন, ৮ আগস্ট ১৯৭৭ সালে ১নং সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কর্তৃক প্রত্যায়ন, ২ ফেব্রæয়ারি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাসংসদ ‘সিদ্ধিরগঞ্চ থানাকমান্ড’ কর্তৃক প্রত্যায়ন, ঢাকা সিটিকমান্ডার‘গেরিলাবাহিনী’ কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র রয়েছে।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর জাতীয় মহাসম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয় হাসমত উল্যাকে। তিনি যে অস্ত্র জমা দিয়েছেন তার গ্রহণ কপি ও রয়েছে। ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি একটি এস.এল.আর (বাটনং ১২৮৯) জমা দেন। অস্ত্র জমাদানের রশিদ নং ১২৮৯।তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায়কার সাথে এবংকার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন; কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন তা গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন মুক্তিবাহিনী কমান্ডার কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখর য়েছে। সাপ্তাহিক মুক্তি বার্তায় ও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে (নং ০২০৫০৫০৬১৮)।
এতোকিছু থাকার পরে ও কেন গেজেটে হাসমত উল্যার নাম নেইতা এক বিরাট প্রশ্ন সেই সাথে রহস্য ময়ও। এ বিষয়ে তার বড় ছেলে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,তরুণ সমাজ সেবক ও ফরিদগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসানসউদ এ প্রতিনিধি কেবলেন-‘বুঝ হওয়ার পর আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। আমারচিন্তায় চেতনায় এবং ধারণে আওয়ামীলীগ। বঙ্গবন্ধুর দর্শন, আদর্শে বিশ^াসীবলে কোনোকিছুতে লোভ নেই। পাওয়ারজন্য নয় দেওয়ার জন্য রাজনীতিকরি। মানুষ এবং সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। রাষ্ট্রিয় সুবিধানয়, আমি আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিচাই পাশাপাশি তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তার ও স্বীকৃতী চাই।’
স্বাধীনতা যুদ্ধের সব প্রমাণ পত্র আছে তবু ও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নাম নেই হাসমত উল্যার
আজনিউজ২৪ :
0 Views