মশিউর রহমান, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯ইং, ইলিয়েনর স্ট্রিট, শিফিল্ড, সাউথ ইর্য়কশাইর, (লন্ডন ব্যুরো চীফ) : যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, “দেশের সাধারণ নির্বাচনের ফল ‘এক-জাতি কনজারভেটিভ সরকারের’ জন্য নতুন শক্তিশালী ম্যান্ডেট।”
অক্সব্রিজ ও রুইস্লিপের এমপি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর বক্তব্যে তিনি বলেন, এটি একটি ‘ঐতিহাসিক নির্বাচন।’
সাবেক বিদ্রোহী টরি এমপি স্যার নিকোলাস সোমস বলেন, এই নির্বাচন এক প্রজন্মের জন্য নতুন একটি রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৈরি করতে পারে।
কিন্তু টরি দলত্যাগী হেইডি অ্যালেন বলেন, এর অর্থ ‘শক্ত-ডানপন্থী’ সরকার।
৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টি আসনের ফলাফল এসেছে। এর মধ্যে কনসারভেটিভরা পেয়েছে ৩৬৪ আসন এবং লেবার পার্টি পেয়েছে ২০৩ আসন
কনসারভেটিভরা গতবারের চেয়ে ৪৭টি আসন বেশি পেয়েছে। অন্যদিকে লেবার পার্টি ৫৯টি আসন হারিয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২৬টি আসনে জয়।
বিবিসির জরিপ বলছে কনসারভেটিভ পার্টি ৩৬৫ আসন পাবে। অন্যদিকে লেবার পার্টি পাবে ১৯৬ আসন।
লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে থাকবেন না।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডিসেম্বর মাসে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০১৭ সালে ৮ই জুন এবং ২০১৫ সালে ৭ই মে ভোটগ্রহণ হয়েছিল।
প্রাথমিক ফলাফলে, লেবার পার্টির শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ডের উত্তর এবং ওয়েলসে’র বেশ কয়েকটি আসনে জয় পেয়েছে রক্ষণশীলরা।
কনজারভেটিভ পার্টি ৩৬৩টি আসন পেয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি।
বুথ ফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশের পর বরিস জনসন বলেন, ‘ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে, ব্রেক্সিট কার্যকর করা, দেশকে একত্রিত করা এবং এগিয়ে নিয়ে যেতেই জনগণ এক জাতি কনজারভেটিভ সরকারকে নতুন ম্যান্ডেট দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশদের গণতান্ত্রিক ইচ্ছাকে সম্মান দেখানো এবং দেশকে আরও উন্নত করার সুযোগ দিয়েছে জনগণ।’
বুথ ফেরত জরিপের ফল সত্য হলে, এটি হবে ১৯৮৭ সালের পর সবচেয়ে বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কনজারভেটিভ দলের বিজয়। আর লেবার পার্টির জন্য ১৯৩৫ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফল।