
এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজু গণমাধ্যমকে এ অভিযোগ করেন। ঘটনাটি লিখিতভাবে জেলা পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্র জানায়, সাহাপুর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়ার উঠান বৈঠক ছিল। রাজু ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে অংশ নেয়। এসময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গোলাম মোস্তফার (পানির বোতল) ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী ও জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক ইউছুফ পাটওয়ারীও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মঞ্চে উঠা নিয়ে মনিরুজ্জামান ও ইউছুফ প্রার্থী রাজুকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে। ঘটনার সময় রাজুসহ তার কর্মীদের হাত-পা কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
নাজমুল করিম রাজু বলেন, প্রতিক পাওয়ার পর থেকে গোলাম মোস্তফা ও অপর প্রার্থী নাসির উদ্দিন লিটনের (টেবিল ল্যাম্প) লোকজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমার কর্মীদের নির্বাচনী কাজে বাধা সৃষ্টি করছে তারা। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর উঠান বৈঠকে জনগণের সামনে আমাকে লাঞ্চিত করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম মোস্তফা বলেন, লাঞ্চিতের ঘটনা বানোয়াট। রাজু প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করে। আমার ভাইয়েরা তাকে লাঞ্চিত কিংবা হুমকি দেয়নি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক বলেন, আমাদের কাছে এনিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।