ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ ইরানকে ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তিতে ফেরাতে ‘প্লান বি’ অনুসন্ধান করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দেশ দুটি জানায়, ইরান যদি ভালোই ভালোই পরমাণু চুক্তিতে ফিরে না আসে তবে ওই প্লান বি’র পথে হাঁটবে তারা।
ফরাসি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের ওই পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসার পরও ইরান যদি শর্ত মেনে না চলে তবে অন্যান্য দেশকে নিয়ে বিকল্প পথে হাঁটবেন তারা।
যদিও সেই বিকল্প পন্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা। তবে বিকল্প পন্থা হিসেবে অনেকগুলি অকূটনৈতিক উপায় বিবেচনা করা হচ্ছে। যেমন- নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো থেকে শুরু করে গোপনে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া ইত্যাদি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান যদি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে সব ধরনের বিকল্পের কথাই বিবেচনা করা হচ্ছে। ইসরায়েল বলেছে, তেহরানকে মোকাবেলায় যে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার তাদের আছে।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত ওই জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে লাগাম টানার শর্তে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন বছর আগে চুক্তিটি থেকে ওয়াশিংটনকে সরিয়ে আনেন এবং ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। পরে তেহরানও চুক্তিতে তার জন্য রাখা শর্তের লঙ্ঘন শুরু করে।
চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করতে চলতি বছর ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা হলেও ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তা বন্ধ রয়েছে। পরোক্ষ আলোচনা ফের শুরুতে রাইসি এখন পর্যন্ত নারাজ।