স্পোর্টস ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। অলিখিত সেমিফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে বিদায় নিয়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচের ৮৬তম মিনিট পর্যন্ত লিড ধরে রাখা বাংলাদেশের কপাল পুড়েছে ৮৭তম মিনিটে। যেখানে নেপালকে এক অদ্ভুত পেনাল্টি উপহার দেয় রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে করা গোলেই প্রথমবারের মতো সাফ ফাইনালে উঠলো নেপাল।
মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না বাংলাদেশের সামনে। সেই লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা খায়। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে নিজেদের পেনাল্টি বক্সের সামনে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন। অবশ্য এর মিনিট সাতেক পরেই জামালের করা ফ্রি কিক থেকে গোল করেন সুমন।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় অবশ্য বেশ প্রভাব রেখেই খেলে নেপাল। ৬৪ ভাগ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখা নেপাল বাংলাদেশের গোলমুখে শট নিয়েছে ৬ টি, যদিও বা একটিও ছিলো না অন টার্গেট। অন্যদিকে বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও নেপালের গোলমুখে দুটি শট নিয়েছে রাকিব-সুমনরা। তপু বাদে এদিন হলুদ কার্ড দেখেছে সাদউদ্দিনও।
দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে থাকা নেপাল আরও মরিয়াভাবে আক্রমণ শুরু করে। ৫৯ মিনিটে মিডফিল্ডার বিশাল রায়কে তুলে স্ট্রাইকার সুমন লামাকে নামায় নেপাল কোচ। ৬৩ মিনিটে পরিবর্তন আনে ব্রুজন। অধিনায়ক জামালকে নামিয়ে সোহেল রানাকে মাঠে নামান তিনি। তবে নেপালিদের মুহুর্মুহু আক্রমণে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে লাল-সবুজের রক্ষণকে।
৭৯তম মিনিটে নিজেদের ভুলে সর্বনাশ ডেকে আনে বাংলাদেশ। ভুল ব্যাকপাসে গোল হজমের শঙ্কা জাগানো বল বক্সের বাইরে এসে ফেরাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন গোলরক্ষক জিকো। ফলে স্ট্রাইকার সুমন রেজাকে নামিয়ে মিডফিল্ডার আতিকুর রহমান ফাহাদকে নিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলাতে হয় বাংলাদেশ কোচকে।
ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে বিতর্কিত এক পেনাল্টি পায় নেপাল। সাদউদ্দিনের গা ঘেসে নেপালের ফুটবলার পড়ে গেলে ফাউলের বাশি বাজায় রেফারি। স্পটকিক থেকে গোল করেন অঞ্জন বিস্তার। সেই গোলেই মূলত ১৬ বছরের আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচের বাকি সময়টাতে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।