এডুকেশন ডেস্ক: কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ার পর এক মাস পূর্ণ হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার। শঙ্কা আর উদ্বেগ কাটিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি। শিশু-কিশোরদের মাঝেও ফিরছে উচ্ছলতা। তবে করোনায় অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক চাকরি হারনোয় কিছু শিশু স্কুলেই ফেরেনি। এখন পর্যন্ত সংক্রমণের বড় কোনো খবর মেলেনি। তারপরও প্রতিদিনই চলছে স্বাস্থ্যবিধির তদারকি।
অনেক উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগ। স্কুলে ফিরলে করোনা আক্রান্ত হবে না তো প্রিয় সন্তানের? এ ভাবনায় প্রথম দিকে অনেকেই ছেলেমেয়েকে স্কুলেই পাঠাননি। তবে দু’সপ্তাহ পেরোতেই বদলেছে অভিভাবকদের মনোভাব। মাস শেষে স্কুলে হাজির অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগে আমাদের ক্লাস হতো না। গুগল মিটে ম্যামরা ক্লাস করাতো। আমাদের বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হয়ে বেশি ভালো লাগছে। প্রতিষ্ঠান এতদিন বন্ধ ছিল। মনে হচ্ছিল আমরা একটা অন্ধকার জগতে ছিলাম। কিন্তু এখন অনেক ভালো লাগছে। কারণ স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি। তবে এ পূর্ণতায় কিছুটা শূন্যতাও রয়েছে। করোনায় চাকরিহারা মা-বাবা। তাই কিছু শিক্ষার্থী ফেরেনি স্কুলে।
একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, আমার শ্রেণিতে তিনজন বাচ্চা গ্রামে চলে গেছে। তার বাবার চাকরি নেই বিধায়। আরেকজন শিক্ষক বলেন, আমাদের আরও অনেক শিক্ষার্থী আছে, যারা গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের বাবা-মায়ের চাকরি না থাকার কারণে।
স্কুল খোলার পর দেশের দু’একটি স্থানের শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সংক্রমণ বাড়ার আগেই আক্রান্তদের রাখা হয়েছিল আলাদাভাবে। সাময়িক বন্ধ ছিল পাঠদান। নতুন করে সংক্রমণ এড়াতে, তদারকিও করা হচ্ছে নিয়মিত।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এখন পর্যন্ত বড় আকারের তেমন কোনো সংক্রমণ ঘটেনি। আলাদা আলাদা কিছু ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো সবগুলোরই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সবগুলোর ব্যাপারেই যেসব অনুসন্ধান করা প্রয়োজন আমরা করছি।
সংক্রমণের খবর পেলে সংশ্লিষ্ট স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে। অভিভাবকদেরকে অনুরোধ, ছেলেমেয়ের মাঝে করোনার উপসর্গ দেখলে স্কুলে পাঠাবেন না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, সবাই তো তদারকি করছেন। তারপরও আমি মন্ত্রণালয় থেকেই লোক দিয়ে দিয়েছি যে আমরা প্রত্যেক বিভাগে এমনকি বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো আমরা নিজেরাই যাবো।