রাজধানী ডেস্ক: রাজধানীর কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কোন ভূমিকা এখনো চোখে পড়ে না। সেই সাথে দুর্মূল্যের বাজারে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। অথচ প্রতিনিয়ত, বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়টি যেন আটকে থাকে, শুধু মূল্যতালিকা টাঙানোর ওপর। মাঝে-মধ্যে যে অভিযান পরিচালনা করা হয়, তাতে দেখা যায় আসছে একদিক দিয়ে আর যাওয়ার পর পূর্বের অবস্থা ফিরে এসব বাজারে।
দামের হেরফের, মূল্য সংযোজন কিংবা সচেতনতা তৈরীতে সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তদারকি মাঝে মাঝে চোখে পড়লেও, তা প্রতিনিয়ত নয়। বছরের পর বছর ধরে বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের অন্ত নেই। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা তদারকির কাজ করলেও সুফল যেন পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
ক্রেতাদের অসন্তুষ্টি আর বিক্রেতাদের অসহায়ত্বের মাঝে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর বড় কোন পদক্ষেপ নেই। বরং, নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে থাকা তাদের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এর মাঝেও তৃপ্তির ঢেকুর সংস্থাগুলোর মাঝে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবুল কুমার সাহা বলেন, মানুষের একটি আস্থার জায়গায় পৌঁছেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তার দাবি, জনবল সংকট আর নানা জটিলতায় আটকে থেকেও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তবে, সম্বন্বয়ের অভাবে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।
এদিকে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণের জন্যে যে নিয়ম-কানুন রয়েছে সেটা প্রথম থেকে করা হয়নি। ফলে যেখানে প্রতিযোগীতা বাড়ার কথা সেখানে দেখা যায়, আমদানী নির্ভর পণ্যের ক্ষেত্রে ৩/৪টি বড় প্রতিষ্ঠান বাজার দখল করে নিয়েছেন।
মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় আরো উন্নত ও আধুনিক চিন্তার পরামর্শ বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশার। তার দাবি, সরবরাহ পরিস্থিতি যাতে সহজ ও মসৃণ হলে কমে আসবে অসংগতি।
দাম বৃদ্ধির প্রবণতা কমাতে উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতা ও সম্বন্বয়ের উপর জোর দিতে বলেছেন সবাই।