শরীয়তপুর প্রতিনিধি: স্বাধীন সার্বভৌম বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও সাবেক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। তিনি দেশের পরিবেশের ভারসাম্য বজার রাখার জন্য দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছেন। যাতে করে আগামী বছর পরেও বাংলাদেশ একটি সবুজ বাসযোগ্য দেশ হিসেবে টিকে থাকতে পারে। তিনি (শেখ হাসিনা) যুব উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এছাড়াও দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। যাতে এদেশের লাখ লাখ যুবক প্রশিক্ষন নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও আত্ম কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে, বেকারত্বের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
রবিবার সকালে (১০ অক্টোবর) শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত যুয উদ্যোক্তা তৈরি ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ক কর্মপন্হা নির্ধারণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে ভাবেন না, তিনি ভাবেন আগামী প্রজন্ম নিয়ে। আর এটাই হওয়া উচিত। পরবর্তী প্রজন্মের কথা মাথায় আছে বলেই তিনি আজ রাষ্ট্রনায়ক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর প্রযুক্তি মনস্কতায় গড়ে তুলতে হবে নতুন প্রজন্মকে। দেশের উদ্যমী তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে সমৃদ্ধ আগামীর জন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার জন্য, শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের জন্য, সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য।
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন, শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন।
গেস্ট অব অনার ছিলেন,
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তা ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর পৌরসভার পারভেজ রহমান জন।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় যুব সমাজের উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আগামী প্রজন্ম যাতে বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারেন, সে জন্য তিনি ডেল্টা ২১০০ প্লান প্রণয়ন করেছেন। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে গঠিত ‘ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল’ মহাপরিকল্পনার অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প গ্রহণ করবে সরকার। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অর্জিত হবে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কাউন্সিলের চেয়ারপারসন। তার হাত ধরেই ইতোমধ্যে সব ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এসব প্রকল্পের বেশির ভাগই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করবে।