জানা অজানা ডেস্ক: তীব্র পানি সংকটে পড়তে পারে ২৯ বছর পর ভারতসহ বিশ্বের ৫০০ কোটির মানুষ। তখন হয়ত এই বিপুল সংখ্যক মানুষ ছিটেফোঁটাও পানি পাবেন না। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। সায়েন্স অ্যালার্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বৈশ্বিক এই সংস্থাটি বলছে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম অংশ, ভূমধ্যসাগর, উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ায় পানির চরম সংকট দেখা দেবে। চরম পানি সংকটে ভুগবে দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়াও।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড মেটিরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিশ্বের ৩৬০ কোটি মানুষ পর্যাপ্ত পানি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বছরে অন্তত এক মাস তারা কোনো পানিই পাননি।
ডব্লিউএমও’র প্রধান পেত্তেরি তালাস বলেন, ভবিষ্যত পানি সংকট নিয়ে আমাদের দ্রুত কিছু করতে হবে। জাতিসংঘের ‘সিওপি-২৬’ শীর্ষক শীর্ষ সম্মেলনের কয়েক সপ্তাহ আগে ‘দ্য স্টেট অব ক্লাইমেট সার্ভিসেস ২০২১: ওয়াটার’ শিরোনামে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলো। ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগোতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উষ্ণায়নের কারণে দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। তাই বিশ্বের পানির স্তর উদ্বেগজনকভাবে নিচে নেমে যেতে শুরু করেছে। যা বিশেষভাবে নজরে এসেছে গত ২০ বছরে।
ডব্লিউএমও বলছে, ভূপৃষ্ঠ, ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তর, বরফ ও তুষারে জমা পানির স্তর গত দুই দশকে যে হারে কমেছে তা আগে কখনও হয়নি। গত ২০ বছরে এই পানির স্তর প্রতি বছরে ১ সেন্টিমিটার করে নেমে যাচ্ছে।
ডব্লিউএমও’র ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, খরার তীব্রতা ও মেয়াদও আগের দুই দশকের নিরিখে গত ২০ বছরে বেড়েছে ৩০ শতাংশ। খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলো।