স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৪টি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা অভিযোগ করেন, কয়েকটি আবেদন করলেও একই সময়ে পরীক্ষার কারণে সবগুলোয় অংশ নিতে পারছেন না।
তাদের দাবি, এতে সময় শ্রমের সঙ্গে গচ্চা যাচ্ছে কয়েক হাজার টাকা। বিষয়টিকে সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাই বলছেন ক্ষুব্ধ প্রার্থীরা। এদিকে কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানারও তাগিদ ছিল না। সকালে ৮টির পর বিকেলে আরও ৬টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
তিতাস গ্যাস, বিসিএসআইআর, সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি, সাধারণ বীমা করপোরেশন, বিসিএস নন ক্যাডার, জালালাবাদ গ্যাস, বিএডিসি, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের চাকরির পরীক্ষা নেয়ার সূচি প্রকাশ করা হয়।
করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত মাস থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও মন্ত্রণালয় চাকরির পরীক্ষা নেয়া শুরু করেছে। তবে একইদিনে একাধিক পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) একইদিনে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠান চাকরির পরীক্ষা নেয়ার সূচি প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি পরীক্ষা পড়েছে একই সময়ে।
এর মধ্যে কোনো কোনো পরীক্ষা শুক্রবার একই সময়ে পড়েছে। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক (জেনারেল) পদের নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১০টা-১১টায়। একই সময়ে সূচি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের নিয়োগ পরীক্ষাও।
একই দিনে ১৪টি পরীক্ষা হওয়ায় কোনো কোনো প্রার্থীর ৪-৫টি পরীক্ষা পড়েছে ওই দিনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, তিতাস গ্যাস ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরীক্ষাসহ শুক্রবার মোট চারটি পরীক্ষা পড়েছে। এর মধ্যে ২টি পরীক্ষা একই সময়ে। এসব চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা লেখা ছিল না, তাই আবেদন করেছি। এ চারটি চাকরিতে আবেদন করতে খরচ হয়েছে এক হাজার ৬৭৩ টাকা। আমার মতো বেকারের জন্য এ টাকা অনেক টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় থাকলে আমার কষ্টের টাকা নষ্ট হতো না।