ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের লড়াই বাঁধার আশঙ্কা রয়েছে। আর সেই সাথে তাদের সম্পর্কের উত্তেজনা গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দুই পক্ষের মধ্যে দুর্ঘটনাক্রমে সংঘাত বেঁধে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুয়ো-চেং এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন পর পর চারদিন ধরে চীনা সামরিক বিমান ‘রেকর্ড সংখ্যায়’ তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু চীন মনে করে এই দ্বীপ রাষ্ট্রটি তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ।
দুটি ভূখণ্ডের পুনরায় একত্রীকরণের জন্য চীন বল প্রয়োগের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে চীনা যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের মূল ভূখণ্ডের আকাশসীমা অতিক্রম না করলেও চিউ হুঁশিয়ার করেন যে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘ভুলক্রমে’ গোলাগুলি শুরু হওয়ার একটি ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল থেকে হামলার সম্ভাবনার ওপর নজর রাখা হয়। তাইওয়ান প্রণালী থেকে শুরু করে এটি এমনকি চীনের মূল ভূখণ্ড পর্যন্ত প্রসারিত। এই অঞ্চলের মধ্যে একটি সীমারেখা রয়েছে যেটি কেউ অতিক্রম করলে তাইওয়ান মনে করে তার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে।
তাইওয়ানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চীন তার দেশের ওপর সর্বাত্মক হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবে। তিনি এসব কথা বলছিলেন যখন তাইপের একটি সংসদীয় কমিটিতে মিসাইল এবং যুদ্ধজাহাজ কেনার জন্য শত শত কোটি ডলারের একটি প্রতিরক্ষা বিল নিয়ে আলোচনা চলছে।
তাইওয়ানের ওপর চীন এখনই হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে এই হামলা চালানো অনেক সহজ হয়ে আসবে। তবে এ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি। চীনে ১৯৪৯ সালে কমিউনিস্টরা শাসন ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন যে তাইওয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারে বলে চীন ক্রমশই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ছাই ইং-ওয়ান যাতে এমন কোনো ঘোষণা না দেন সেটা চীন ঠেকাতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে খোলাখুলিভাবে চীনের সামরিক শক্তি প্রদর্শন নিয়ে তাইওয়ানের সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।