বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: সবুকের সাবেক এক কর্মী যুক্তরাষ্ট্রের আইনবিদদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে, বিভাজন সৃষ্টি এবং গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা ফ্রান্সেস হোগেন নামে ৩৭ বছর বয়সী ওই নারী সম্প্রতি হুইসেলব্লোয়ারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে এক শুনানিতে নিজের পুরনো কর্মস্থলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ব্যাপক সমালোচনা করেন তিনি।
তার দাবি, এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের পণ্য নানাভাবে ক্ষতি করছে শিশু-কিশোর-তরুণদের। তিনি ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কংগ্রেসিয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। আপনাদের সহায়তা ছাড়া তারা এই সঙ্কটের সমাধান করবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হোগেন মার্কিন সিনেটের একটি উপকমিটিকে জানান, ফেসবুক বারবার জনগণকে ক্ষতির বিষয়ে বিভ্রান্ত করেছে। তিনি বলেন, আমি আজ এখানে আছি কারণ আমি বিশ্বাস করি, ফেসবুকের পণ্য শিশুদের ক্ষতি করে, বিভাজন সৃষ্টি করে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করে।
বিশ্বব্যাপী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের সেবায় বিঘ্ন ঘটার একদিন পরই এসব অভিযোগ তুললেন হোগেন। এর আগে গত ৩ অক্টোবর সিবিএস নিউজকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি কিছু তথ্য সিনেট কমিটিকে দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
তবে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এই অভিযোগকে তার কোম্পানির ‘মিথ্যা ছবি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
এ অভিযোগ ওঠার পর কর্মীদের উদ্দেশে একটি চিঠিতে তিনি বলেন, অনেক দাবির কোনো অর্থই নেই। ক্ষতিকর বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে লড়াই, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা এবং ‘এগুলো বজায় রেখে একটি শিল্প-নেতৃস্থানীয় গবেষণা কর্মসূচি’ তৈরির প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
নিজের ফেসবুক পেজে এক বার্তায় তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তা, সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলির প্রতি গভীরভাবে যত্নশীল।