ইকোনোমিক ডেস্ক: দেশে ই-কমার্স ব্যবসার যুগ পেরোলেও আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি এ খাতকে। ফলে মনগড়া পদ্ধতিতেই চলছে এসব ব্যবসা। গ্রাহকদের অর্থের অনিশ্চয়তা থাকার পরও এসব প্রতিষ্ঠান চালিয়ে গেছে পঞ্জি স্কিম ব্যবসা। বাজারে ব্যবাসর সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত প্রতিযোগিতা কমিশন এসব প্রতিষ্ঠানকে সাজার আওতায় আনার বিধান থাকলেও, নেই কার্যক্রম বন্ধের ক্ষমতা।
দেশে ই-কমার্সের ১ যুগের যাত্রাটা সহজ ছিল না মোটেও। আস্থাহীনতার উদ্বেগ শুরু থেকেই ভুগিয়েছে গ্রাহকদের। তবে বছরের পর বছর পেরিয়েও ভোক্তা স্বার্থরক্ষায় হয়নি কোনো আইন।
মাত্র মাস দুয়েক আগে হলো ই-কমার্স নীতিমালা। তার ওপর ভিত্তি করে আইন প্রণয়ন এখনও বন্দী পরিকল্পনায়। অবশ্য এর মধ্যেই ইভ্যালি কিংবা ই-অরেঞ্জের মতো পঞ্জি স্কিমের ফাঁদে ধরা দিয়েছেন লাখো মানুষ।
নীতিমালা অনুযায়ী, শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই দেশে শুরু করা যায় ই-কমার্স ব্যবসা। যদিও বেশিরভাগেরই তাও নেই। আইনের অভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজার হাজার অনলাইন ব্যবসার ওপর নজরদারিটাও সরকারের জন্য কঠিনই বটে। এমন সব ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়েই ইভ্যালির মতো পঞ্জি স্কিম ছড়িয়েছে ডালপালা। স্বর্বশান্ত করেছে সরল বিশ্বাসের মানুষকে।
দেশে ই-কমার্সের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭৫ শতাংশ। বর্তমানে যার আকার ১৫ হাজার কোটি টাকা।