স্পোর্টস ডেস্ক: বার্সালোনা ছাড়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই অনলাইনে লিওনেল মেসির সব জার্সি বিক্রি হয়ে গেছে মাত্র ৩০ মিনিটে। সেই সাথে রংবেরংয়ের সাজ শুরু হয়ে যায় প্যারিসে। তখন থেকেই গুঞ্জন প্যারিসে পা রাখছেন ফুটবলের মহা তারকা। তাইতো তাকে স্বাগত জানাতে হাজারো সমর্থকদের ভিড় বিমানবন্দরে ও ক্লাব চত্বরে। সেই খেলোয়াড়ের জার্সি বিক্রি নিয়ে হুল্লোড় পড়াটাই তো স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর বিক্রির জন্য মেসির জার্সি তোলা হয় পিএসজির অনলাইনে। শুরু থেকেই বিক্রির ধুম পড়ে যায়। শেষ হতে লেগেছে আধা ঘণ্টা মাত্র। তবে মেসির জার্সির জন্য অবশ্য একটু বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হয় ভক্তদের। তাও বাধা মানেনি। আটকে রাখা যায়নি ভক্তদের। অন্যান্য খেলোয়াড়দের জার্সি মূল্যের চেয়ে দেড় গুণ বেশি দামেও এ জার্সি কিনতে কৃপণতা করেননি ভক্তরা। প্রতিটি জার্সি জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৭.৯৯ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫ হাজার ৭২০ টাকা।
সংবাদকর্মী জোনাস জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে পিএসজির অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরে মেসির সব জার্সি বিক্রি হয়ে যায়।
এর আগে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, মেসির পর জার্সির দামের দিক থেকে সমান অবস্থানে রয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, নেইমার, আনহেল দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস। তাদের জার্সির দাম ১০৭.৯৯ ইউরো যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ৭৪৫ টাকা।
নিজেদের অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরে মেসির তিনটি সংস্করণের জার্সি বিক্রি করছে পিএসজি। মেসি যে জার্সি পরবেন, তেমন সংস্করণগুলোর দাম ১৫৭.৯৯ ইউরো করে। ‘স্টেডিয়াম সংস্করণ’–এর জার্সির (হোম) দাম আরেকটু কম- ১০৮.৩৮ ইউরো। স্টেডিয়াম সংস্করণে মেসির অ্যাওয়ে জার্সির দাম আরও কম- ৮৮.৭৬ ইউরো।
তবে এসব জার্সি পিএসজি এখনো আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাত করা শুরু করেনি। এমনকি নাইকির অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরেও মেসির জার্সি ছাড়া হয়নি।
বার্সেলোনায় ১০ নম্বর জার্সি পরে খেললেও পিএসজিতে ৩০ নম্বর জার্সি পরবেন মেসি। মেসিকে পিএসজিতে আসার আগে নেইমার তার প্রিয় ১০ নম্বর জার্সি সেধেছিলেন।
